এ আসনে এবার নৌকা পেয়েছেন রনজিত সরকার। নৌকা না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন ও দলের আরেক নেতা সেলিম আহমদ।
রনজিত চন্দ্র সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সদস্য। ছাত্রলীগ থেকে আওয়ামী লীগে উঠে আসা রনজিতের রাজনীতি সিলেট নগরকেন্দ্রিক। তবে তাহিরপুর উপজেলার বাসিন্দা রনজিত নির্বাচনী মাঠে সরব দীর্ঘদিন থেকে। তাঁর প্রচারণায় জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের পাশাপাশি সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীও অংশ নিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে তাহিরপুর, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা রয়েছেন।
এবার এখানে নৌকা পাননি এই আসনের ‘আলোচিত-সমালোচিত’ সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম। তবে মাঠ ছাড়েননি তিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। দলের একসময় যাঁরা তাঁর সঙ্গী ছিলেন, নৌকা হারানোয় অনেকেই ছেড়ে গেছেন। তবে দীর্ঘ ১৫ বছরের ‘বিরোধ’ ভুলে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন জামালগঞ্জের বাসিন্দা সুনামগঞ্জ-সিলেট সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য শামীমা শাহরিয়ার। তিনি নিজেও দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। দলীয় প্রার্থী ঘোষণার আগেও মোয়াজ্জেমের কড়া সমালোচনা করেছেন। এখন তাঁর পক্ষে মাঠে-ময়দানে বক্তব্য দিচ্ছেন। শামীমার কথা, বাইরের কোনো চাঁদাবাজ, মাস্তানকে চান না তাঁরা। বুধবার বিকেলে তাহিরপুরের এক নির্বাচনী পথসভায় মোয়াজ্জেমের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকে বলছে আমাকে মোয়াজ্জেম ভাই টাকা দিয়েছে। আমাকে টাকা দিয়ে কেউ কিনতে পারবে না। আমার যা আছে, তা ৫০ বছরেও শেষ হবে না।’