২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে তৌহিদুল ইসলামের শুধু কৃষি খাত থেকে বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ টাকা। ২০২৪ সালে এসে বার্ষিক আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫৪ টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাত থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার, ব্যবসা থেকে ২ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা, নিজের শেয়ার সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে ৫ হাজার ১৫৪ টাকা। স্ত্রীর সঞ্চয়পত্র থেকে বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এ ছাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে সম্মানী বাবদ বার্ষিক আয় ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা।
হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তৌহিদুল ইসলামের স্থাবর সম্পত্তিও বেড়েছে ৩ দশমিক ৮০ গুণ। ২০১৯ সালে তৌহিদুল ইসলাম কৃষিজমির পরিমাণ দেখিয়েছিলেন ৫ দশমিক ১৩ একর; যার মূল্য (অর্জনকালীন সময়ের) দেখানো হয়েছিল ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আর অকৃষি জমির পরিমাণ দেখানো হয়েছিল ৩ দশমিক ২২ একর; যার মূল্য দেখানো হয়েছিল (অর্জনকালীন সময়ের) ২ লাখ ৫২ হাজার টাকা। ওই সময় একটি দালানবাড়ি দেখানো হয়েছিল ৭৫ হাজার টাকার। এদিকে ২০২৪ সালে এসে একই পরিমাণ জমি ও মূল্য একই দেখানো হয়েছে। তবে এবার ২৫ লাখ টাকার দালানবাড়ির কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।
হলফনামার তথ্য সম্পর্কে তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সম্পত্তি বাড়ার ক্ষেত্রে শুধু আমার সম্মানীর টাকাটা যোগ হয়েছে। আমার স্ত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তাঁর অবসরের পর পেনশনের টাকায় ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনে রেখেছেন। আর আগে আমার টিনশেড বাড়ি ছিল। পরে সম্মানীর টাকা দিয়ে সেটাকে একটু ভালো করে বিল্ডিং (ভবন) তৈরি করেছি।’
এই উপজেলায় তৌহিদুল ইসলাম ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক আনিছুর রহমান নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।