18.3 C
New York

তাপপ্রবাহে কী করতে হবে, জানিয়ে জাতীয় নির্দেশিকা প্রকাশ

Published:

অনুষ্ঠানে জাতীয় গাইডলাইনের মোড়ক উন্মোচন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, এই গরমের মধ্যে রোগী ব্যবস্থাপনায় হাসপাতালগুলো ফাঁকা রাখতে হবে। যেসব অস্ত্রোপচার পরে করলেও চলবে, সেগুলো যেন এখন না করা হয়। ভবিষ্যতে এ ধরনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। তাই গরমে কী করা যাবে, তা নিয়ে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তিনি গরমের তীব্রতা কমাতে গাছপালা রোপণের দিকে নজর বাড়াতে বলেছেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউনিসেফ বাংলাদেশের উপপ্রতিনিধি এম্মা ব্রিগহাম বলেন, তাপপ্রবাহের সময়ে অপরিণত শিশু জন্মের ঝুঁকি বেশি। তাপমাত্রা প্রতি ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধিতে অপরিণত শিশু জন্মের ঝুঁকি ৫ শতাংশ বাড়ে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের সাড়ে ৩ কোটির বেশি শিশু তীব্র তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হবে। ২০২০ সালে ২৬ লাখ শিশু এই ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছিল।

অনুষ্ঠানে গাইডলাইনটির বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি বলেন, ২০২৩ সাল থেকেই তাপমাত্রা নিয়মিতভাবে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকছে। তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে শরীর অনেক সময় পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারে না। ফলে বিভিন্ন অসুস্থতা দেখা দেয়। এ সময় কলেরা, আমাশয়, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, জন্ডিস, পানিশূন্যতা ও ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে। দিনের যে সময়ে তাপমাত্রা বেশি থাকে, সে সময়ে তিনি বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

Related articles

Recent articles

spot_img