জিয়াউল হক মোল্লা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাসদ সব পক্ষ ঈগলের সঙ্গে আছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অনেকে প্রকাশ্যে, অনেকে ভেতরে–ভেতরে আমাকে জেতাতে কাজ করছেন। প্রশাসন থেকে যথেষ্ট সহযোগিতাও পাচ্ছি।’
বুধবার কাহালু উপজেলার নির্বাচনী এলাকার অন্তত ২০ জন ভোটার জানান, বিএনপির দায়িত্বশীল কিছু নেতা বাদে অধিকাংশ নেতা-কর্মী জিয়াউল হক মোল্লার পক্ষে মাঠে নেমেছেন। এ কারণে বিএনপি থেকে ইতিমধ্যে দুই উপজেলার ১৪ নেতাকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। পাশাপাশি ভেতরে–ভেতরে কাহালু ও নন্দীগ্রাম আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশ জিয়াউলকে সমর্থন দিয়েছে। এমনকি তাঁর পক্ষে কেন্দ্রে ভোটার টানতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও মাঠে সরব। জাসদের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিমের নৌকার পক্ষে কাজ করায় নন্দীগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে।
নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী রেজাউল করিমের নানা বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। নেতা-কর্মীরা তাঁর কাছে কোনো দিন সম্মান পাননি, কোনো কাজে গেলে মূল্যায়নও হয়নি। তবু আওয়ামী লীগ নিজেদের মতো করে নৌকার প্রচারণা চালাচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্তত ১২ জন ভোটার দাবি করেন, জিয়াউল হক মোল্লার সঙ্গে সরকারের গোপন সমঝোতা হয়েছে। এ কারণে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নৌকার বদলে ঈগলে ঝুঁকেছেন। প্রশাসনও অন্যদের তুলনায় তাঁকে বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে।