তিন দশকের যাত্রায় ১০৪টি আবাসন প্রকল্পের ২ হাজার ২০০ অ্যাপার্টমেন্ট গ্রাহকদের হস্তান্তর করেছে বিল্ডিং ফর ফিউচার। গুলশান, উত্তরা, মতিঝিল, মাদানী অ্যাভিনিউ, মিরপুর, বারিধারা, আজিমপুর, ধানমন্ডি, ওয়ারীসহ বিভিন্ন এলাকায় ছিল এসব প্রকল্প। বর্তমানে পাঁচটি বাণিজ্যিক ও আটটি আবাসিক প্রকল্পের কাজ চলমান।
তানভিরুল হক বলেন, ‘প্রথম প্রকল্পের পরের কয়েকটাও গুলশানে। ধীরে ধীরে শহরের অন্যান্য এলাকায়ও প্রকল্প করতে থাকলাম। শুরু থেকেই আমরা আমাদের আবাসন প্রকল্পে প্রচুর আলো–বাতাস চলাচলের পাশাপাশি সবুজায়নে জোর দিলাম। ভবনের বাসিন্দাদের কিসে সুবিধা ও আরাম, সেদিকেও নজর দিলাম।’
শুরু থেকেই নিজেদের নির্মিত আবাসিক ভবনগুলোর নাম ফুলের নামে রাখছে বিল্ডিং ফর ফিউচার। আগেই বলেছি, প্রথম ভবনটির নাম ছিল ব্লু অর্কিড। তাঁদের কয়েকটি প্রকল্পের নাম হচ্ছে অপরাজিতা, কৃষ্ণচূড়া, রঙ্গন, ম্যাগনোলিয়া পয়েন্ট, কামিনী, টিউলিপ, হাসনাহেনা, দোলনচাঁপা ইত্যাদি। এমনও হয়েছে, সবকিছু চূড়ান্ত হওয়ার পর শুধু ফুলের নাম দেওয়া নিয়ে জটিলতায় জমি ছেড়ে দিয়েছেন তাঁরা। বর্তমানে যদিও মানুষের নামের সঙ্গে ফুলের নাম যুক্ত করেও আবাসন প্রকল্পের নাম করা হচ্ছে।
তিন দশকের ব্যবসায় কোন সমস্যা বেশি ভুগিয়েছে, জানতে চাইলে বিল্ডিং ফর ফিউচারের এমডি বলেন, ‘চাঁদাবাজি। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় প্রকল্প করতে গিয়ে চাঁদাবাজদের খপ্পরে পড়তে হয়েছে। তবে কোথাও চাঁদা দিয়ে আমি কাজ করিনি।’ এ প্রসঙ্গে ব্যবসার শুরুর দিকের এক চাঁদাবাজের গল্প বললেন তানভিরুল হক, ‘নব্বইয়ের দশকের ঘটনা। মিরপুরে একটা প্রকল্পের কাজ চলছে। একদিন শুনলাম, স্থানীয় এক মাস্তান আমাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। আমার পরিচিত লম্বা চুলওয়ালা একটি ছেলেকে বাইকের পেছনে উঠিয়ে নিলাম। ওই ছেলেকে তার প্যান্টের পকেটে একটা স্ক্রু ড্রাইভার হাত দিয়ে এমনভাবে ধরে রাখতে বললাম, যাতে মনে হয়, পকেটে রিভলবার আছে। যা–ই হোক, ওই মাস্তানের সঙ্গে দেখা হলো। বুঝিয়ে–সুঝিয়ে তাকে শান্ত করলাম। তার সঙ্গে যখন কথা বলছিলাম, লম্বা চুলওয়ালা ছেলেটা তখন একটু দূরে পকেটে স্ক্রু ড্রাইভার হাতে দাঁড়িয়ে ছিল।’