তবে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি বড় সুবিধা দেবে রপ্তানিকারকদের। তাঁরা বলছেন, যদি ব্যবসার অন্যান্য খরচ না বাড়ে, তাহলে প্রতি ডলারে ৬ থেকে ৭ টাকা বেশি আয় হবে রপ্তানিকারকদের। এতে তাদের বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়বে।
এ বিষয়ে চামড়া পণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মেট্রো চেম্বারের সাবেক সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর প্রথম আলোকে বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্ববাজারের যে পরিস্থিতি তাতে ডলারের এ মূল্যবৃদ্ধি বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় আমাদের সক্ষমতা বাড়াবে। কিন্তু ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে যদি পরিবহন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি খরচ বাড়িয়ে দেওয়া হয়, তাহলে রপ্তানিকারকেরা এর সুফল পাবেন না। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির ফলে ব্যবসার অন্যান্য খরচ যাতে না বাড়ে, সে জন্য সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।’
বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভার বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার বলেন, দেরিতে হলেও ডলারের দাম বাজারের বাস্তব দামের কাছাকাছি নেওয়া হয়েছে। ঋণের সুদের হারও বাজারভিত্তিক করা হয়েছে। স্বল্প মেয়াদে এসব সিদ্ধান্ত ব্যবসায় চাপ তৈরি করবে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি এর ভালো সুফল মিলতে পারে। তিনি আরও বলেন, ডলারের দাম বাড়ানোর ফলে সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়বে ১৫–১৬ হাজার কোটি টাকা। সেই বাড়তি রাজস্বের একটি অংশ জ্বালানি আমদানির বাড়তি খরচ মেটাতে ব্যয় করা হলে জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন না–ও হতে পারে। নতুন করে ব্যবসার খরচ না বাড়লে দীর্ঘ মেয়াদে এ সিদ্ধান্তের সুফল মিলবে।