ডুরান্ট আসার পর থেকে নিজেদের মানসিকতা বদলের ব্যাপারটি টের পাচ্ছেন দলের সিনিয়র ব্যাটার ও ওপেনার মুর্শিদা খাতুন। তাঁর মতে, ‘আগে আমি স্কোয়াট (একধরনের ব্যায়াম) করতাম ৪০ কেজি দিয়ে, এখন ৬০ কেজি দিয়ে করি। সে ভারসাম্য নিয়ে কাজ করায়, এমনকি মানসিকতা নিয়েও। আগে যেমন শট খেলতে গেলে একটু দ্বিধা কাজ করত, আমি ছক্কা মারতে পারব কি না। (বলটা বাউন্ডারি পর্যন্ত) যাবে কি যাবে না। এখন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মেরে দিতে পারি।’
গত মে মাসে জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দেওয়া ডুরান্টের কাজ যে এখনো বেশ বাকি, সেটি বলাই যায়। আগামী অক্টোবরে দেশের মাটিতে হতে যাওয়া বিশ্বকাপে ভালো কিছু করতে গেলে দলের ব্যাটিংয়ের যে বেশ ভালো একটা উন্নতি দরকার, সেটি নিশ্চিতই।
আজ প্রকাশিত সূচিতে বাংলাদেশ আছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলের সঙ্গে একই গ্রুপে। ২০২৩ সালের পর থেকে ওভারপ্রতি রানের দিক দিয়ে শীর্ষে থাকা অস্ট্রেলিয়ার (৮.১৯) পরই আছে ইংল্যান্ড (৮.১২) ও দক্ষিণ আফ্রিকা (৭.২৪)। সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজও বাংলাদেশের চেয়ে ভালোই এগিয়ে (৬.৩৫)।
অবশ্য বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরা ডুরান্টের কাজে বেশ সাড়া দিচ্ছেন বলেই জানিয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপের ব্যাপারটি ভাবনায় আছে তাঁরও, ‘আমি প্রায় ১০ বছর ইংল্যান্ডে নারী জাতীয় দলের হয়ে কাজ করেছি। আমি তাদের শারীরিক দিক দিয়ে শক্তিশালী হতে সহায়তা করেছি। এখানে প্রায় এক বছর আছি। চার–পাঁচ মাস বাকি আছে বিশ্বকাপে। দ্রুত এগোতে হবে। আমাদের “ইমপ্যাক্ট পারফরম্যান্স” দরকার।’
বিশ্বকাপে ভালো কিছু করার আশা মুর্শিদারও, ‘আমরা বাঙালি, ভাত খেতে পছন্দ করি। (ডুরান্ট) বলেছে শর্করা একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে রাখতে। আমিষ বেশি খেতে বলছে। সামনে এশিয়া কাপ আছে। উন্নতির চেষ্টা করব। (এরপর) বিশ্বকাপ যেহেতু নিজেদের দেশে, চেষ্টা করব দেশবাসীকে সেরা খেলাটা উপহার দিতে।’