ওই স্কিমের অধীন স্বল্প সুদে দীর্ঘ মেয়াদে ঋণ পেতে তফসিলি ব্যাংকগুলোর চুক্তি করার মেয়াদ তিন দফায় বাড়ানো হয়েছে। আপাতত চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকগুলো এ সুযোগ পাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চুক্তির জন্য এ পর্যন্ত মাত্র সাতটি তফসিলি ব্যাংক আবেদন করেছে (বর্তমানে তফসিলি ব্যাংক ৬১টি)। এর মধ্যে প্রিমিয়াম ব্যাংক ১৫ কোটি ও ওয়ান ব্যাংক ৩ কোটি, অর্থাৎ মোট ১৮ কোটি টাকার পুনঃ অর্থায়নে আবেদন করে, যা বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদন করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক (ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন) কাজী আরিফ উজ জামান প্রথম আলোকে বলেন, সিনেমা হলগুলোকে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য কম সুদে ঋণের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ। এ সুযোগকে কাজে লাগানো জরুরি।
কাজী আরিফ উজ জামান জানান, কোনো ব্যাংক এ স্কিমের আওতায় পুনঃ অর্থায়নের জন্য আবেদন করলে বাংলাদেশ ব্যাংক ওই ঋণের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে গ্রাহকের সংশ্লিষ্ট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বা স্থাপনা পরিদর্শন করতে পারে। এ পর্যন্ত তিনটি আবেদনের তদন্ত বা যাচাই–বাছাই শেষে বাংলাদেশ ব্যাংক তা অনুমোদন করেছে। বর্তমানে আর কোনো আবেদন জমা নেই।
২০২০ সালের ২৫ আগস্ট জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তথ্য মন্ত্রণালয়কে সিনেমা হলগুলো পুনরায় বাঁচিয়ে তুলতে একটি বিশেষ তহবিল গঠনের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর চালু হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের এক হাজার কোটি টাকার পুনঃ অর্থায়ন স্কিম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন বলছে, নতুন সিনেমা হল নির্মাণ, বিদ্যমান হলের সংস্কার ও আধুনিকায়নে সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হবে।