জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, লম্বা সময় ধরে মানুষ মূল্যস্ফীতির চাপে আছে। বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার। দাম নিয়ন্ত্রণ করাটাকেই মূল অগ্রাধিকার বলেছে নতুন সরকার। অথচ গ্যাসের দাম বাড়িয়ে মুনাফা করছে পেট্রোবাংলা। জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে মুনাফা করছে বিপিসি। জ্বালানি তেলের দাম কমানোর সুযোগ ছিল। এটি কমালে বাজারে পণ্যের দাম কমত।
দেশে জ্বালানি তেল আমদানি ও সরবরাহের একমাত্র সংস্থা হলো বিপিসি। বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েল ও উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জেট ফুয়েলের মতো তেলের দাম নিয়মিত সমন্বয় করে তারা। এই দুই ধরনের তেল বিক্রি করে সব সময়ই মুনাফা করে বিপিসি। তবে পরিবহনে ব্যবহৃত ডিজেল, পেট্রল, অকটেনের দাম নির্বাহী আদেশে নির্ধারণ করে জ্বালানি বিভাগ। এর মধ্যে পেট্রল ও অকটেনে সব সময়ই মুনাফা করে বিপিসি। দেশে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ৭৫ শতাংশই ডিজেল। কয়েক মাস ধরে ডিজেল বিক্রি করেও মুনাফা করছে তারা।
অর্থনৈতিক সমীক্ষা বলছে, ২০১৪-১৫ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত বিপিসির নিট (কর দেওয়ার পর) মুনাফা ৪৬ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকা। একই সময়ে সরকারকে লভ্যাংশ দিয়েছে ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া বিপিসির ব্যাংক হিসাবে জমা থাকা উদ্বৃত্ত তহবিল থেকে দুই দফায় ১০ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে সরকার। এর বাইরে জ্বালানি তেলের শুল্ক-কর থেকে প্রতিবছর কয়েক হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পায় সরকার। টানা সাত বছর মুনাফা করার পর ২০২১-২২ অর্থবছরে বিপিসি লোকসান করে। বিপিসির হিসাব বলছে, ওই সময়ে ২ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা লোকসান করে সংস্থাটি। ওই অর্থবছর শেষ হওয়ার এক মাস পর বাড়ানো হয়েছিল জ্বালানি তেলের দাম।