পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর দেশের করব্যবস্থার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, দেশের করব্যবস্থার দক্ষতা বাড়ানো গেলে রাজস্ব আয় তিন গুণ বাড়ানো সম্ভব। কেন করব্যবস্থার সংস্কার হয় না, তা সবাই কমবেশি জানেন। অথচ কর কর্মকর্তাদের অসীম ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে আহসান মনসুর বলেন, গত অর্থবছরে সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছে। এবার তা হচ্ছে না, ভালো কথা। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকগুলোকে টাকা দিচ্ছে এবং সেই অর্থ অর্থনীতিতে সঞ্চালিত হচ্ছে। দেশের মূল্যস্ফীতির হার না কমার এটি একটি কারণ। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো ঋণের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল, তারা যেন ঋণের প্রথম আশ্রয় হয়ে না যায়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শামসুল আলম কর-জিডিপির অনুপাত বৃদ্ধিতে জোর দেন। তিনি বলেন, বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছেন, ঢাকা নগরের অনেক বাড়িওয়ালা কর দেন না; রাজস্ব বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে একধরনের বন্দোবস্ত করে ফেলেন তাঁরা। এতে বিপুল পরিমাণে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশ।
শামসুল আলম আরও বলেন, আইএমএফের হিসাবমতে, দেশে কর-জিডিপির অনুপাত ৮ শতাংশের নিচে; ভিয়েতনামের সাড়ে ১১ শতাংশ। সে দেশে যে বিপুল পরিমাণে এফডিআই বা প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আসে, এর সঙ্গে কর-জিডিপির অনুপাতের সম্পর্ক আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, কর-জিডিপির অনুপাত বেশি হলে বিনিয়োগকারীরা আশ্বস্ত হতে পারেন যে মুনাফা দেশে ফিরিয়ে নেওয়া সহজ হবে।