10.7 C
New York

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকেরা কেন সবচেয়ে বেশি বেকার

Published:

বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পড়ালেখা শেষ করে মাত্র ১ শতাংশ কলেজ গ্র্যাজুয়েট স্বকর্মসংস্থানে যুক্ত হচ্ছেন। গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পর তিন বছর ধরে চাকরির সন্ধান করতে হচ্ছে ৪৬ শতাংশ কলেজ গ্র্যাজুয়েটকে। তাঁদের মধ্যে বেকারত্বের হারও সবচেয়ে বেশি ৭১ শতাংশ।

এই কলেজগুলোর লেখাপড়ার মান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন আছে। সেশনজট কমানোর লক্ষ্যে ঠিকমতো ক্লাস না করে পরীক্ষার ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়ার মতো অভিযোগও আছে। বাস্তবতা ও চাহিদার মধ্যে সমন্বয় না করেই দীর্ঘদিন ধরে ঢালাওভাবে দেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন কলেজে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু করা হয়েছে।

কিন্তু বাস্তবে অধিকাংশ কলেজেই উচ্চশিক্ষায় পড়ানোর মতো পর্যাপ্ত ও দক্ষ শিক্ষকের অভাব, প্রয়োজনীয় শ্রেণিকক্ষ সংকট, অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি, অবকাঠামোগত ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নেই। প্রায় সারা বছরই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো না কোনো পরীক্ষা থাকায় কলেজের শ্রেণি কার্যক্রম ব্যাহত হয়।

এ ছাড়া শিক্ষার্থী ও কলেজের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সব কলেজকে ঠিকমতো তদারকি করা সম্ভব হয় না বলে নানা মহলে আলোচনা আছে। এসব কলেজ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা কাঙ্ক্ষিত দক্ষতা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে।

ফলে তাঁরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীর সঙ্গে চাকরির প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছেন। বিশ্বব্যাংক বলছে, গ্র্যাজুয়েটদের বড় অংশেরই দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে। তাঁদের ওপর জরিপ চালিয়ে সংস্থাটি বলছে, এক-তৃতীয়াংশ চাকরিজীবী গ্র্যাজুয়েট মনে করেন, কলেজে শেখা জ্ঞান ও দক্ষতা তাঁরা কাজে লাগাতে পারছেন। অধিকাংশ কলেজ–গ্র্যাজুয়েটই তাঁদের কলেজে শেখা জ্ঞান কাজে লাগাতে পারেন না।

Related articles

Recent articles

spot_img