নাটোরের আমজাদ খান চৌধুরী নার্সিং কলেজে উদযাপন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস। রোববার (৫ মে) কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করেন।
আন্তর্জাতিক প্রতিপাদ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবারের মিডওয়াইফ দিবসে বাংলাদেশের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘মিডওয়াইফ জলবায়ু সংকটে অপরিহার্য জনশক্তি।’ মাতৃস্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থায় মিডওয়াইফদের কাজের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও সারা বিশ্বে লাখ লাখ মা ও শিশুর জীবনে মিডওয়াইফদের উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
আজ সকালে কলেজের আঙ্গিনা থেকে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু করা হয়। আমজাদ খান চৌধুরী নার্সিং কলেজের উদ্যোগে দিবসটি উপলক্ষে হলরুমে প্রথমে কেক কেটে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা এবং পরবর্তী সময়ে একটি আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনো বেশিরভাগ গর্ভবতী মা বাড়িতে সন্তান প্রসব করেন। এরা অনিরাপদভাবে অদক্ষ সেবাদানকারীর সাহায্য নেন। তাই মা ও শিশুর জীবেন ঝুঁকি থাকে। এ পরিস্থিতির পরিবর্তনে দক্ষ মিডওয়াইফের সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন। এছাড়া গত এক দশকে বাংলাদেশে মিডওয়াইফারি শিক্ষা ও সেবার উন্নয়ন এবং নিরাপদ মাতৃত্ব ও নবজাতকদের জরুরি সেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে মিডওয়াইফদের সাফল্যের বিষয়ে অনুষ্ঠানে আলোচনা করা হয়।
আমজাদ খান চৌধুরী নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ রেহেনা খাতুন বলেন, জলবায়ু সংকটে মিডওয়াইফারি নার্সদের ভূমিকা অপরিসীম। সেই উদ্দেশে গর্ভবতী মায়ের নিরাপদ মাতৃত্ব ও নবজাতকের জরুরি সেবা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের কলেজের মিডওয়াইফারি শিক্ষার্থীদের নিয়মিতভাবে হাতে কলমে শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। দক্ষ মিডওয়াইফ গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ্য শিক্ষক পদায়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশের মিডওয়াইফরা ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এমএমএ/এমএইচআর/জেআইএম