মাটির হাঁড়ি-পাতিল, মৃৎশিল্প, খেলনা, গৃহসজ্জার জিনিসপত্র, খাবার, দা-খুন্তি, শীতলপাটি, ঝাড়ু, হাতপাখা, আসবাব, গাছের চারা—কী নেই এই মেলায়। মূলত তিন দিনের হলেও মেলা শুরু হওয়ার চার দিন আগে থেকেই লালদীঘির মাঠের আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রেতারা আসতে থাকেন। এ যেমন শোভা হ্যান্ডিক্র্যাফটের কথাই ধরা যাক। প্রতিবছরের মতো এবারও ঢাকার দোয়েল চত্বর থেকে এসেছেন প্রতিষ্ঠাটির কর্মীরা। তাঁরা বসেছেন লালদীঘির পেট্রলপাম্প এলাকায়। বিক্রেতা সমশের আলী জানান, তাঁরা শনিবার মেলায় এসেছেন। এক ট্রাক মাটির হাঁড়ি-পাতিল ও গৃহসজ্জার সামগ্রী নিয়ে এসেছেন। প্রতিবছরের মতো এবারও মেলা শেষ হওয়ার পর সব বিক্রি করে ফিরবেন।
গরমের কারণে এবার মেলার প্রথম দিনে ক্রেতাদের উপস্থিতি কিছুটা কম বলে জানালেন রাজশাহী থেকে মৃৎশিল্পের বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে আসা নয়ন ইসলাম। তিনি বলেন, গরমের কারণে ক্রেতা কম। বিকেল ও রাতের দিকে কিছু ক্রেতা আশা করছি।
ইমরান ও নোয়াব আলী বিভিন্ন নকশাকার গৃহসজ্জার সামগ্রী নিয়ে এসেছেন ঢাকা থেকে। তাঁরাও ক্রেতার পথ চেয়ে বসে আছেন। তাঁরা বলেন, সকাল থেকে কিছু কিছু বেচাবিক্রি হচ্ছে। তবে বিকেলের দিকে একটু বাড়তে পারে বলে আশাবাদী।
ক্রেতাদের বেশির ভাগের আগ্রহ মেলায় আসা ফুলের ঝাড়ু ও হাতপাখার দিকে। নগরের অনেক পরিবারই এই মেলা থেকে ফুলঝাড়ু, দা-বঁটি, শিল-পাটা, রুটি বানানোর পিঁড়িসহ সাংসারিক অনেক জিনিসের জন্যই মেলার দিকে তাকিয়ে থাকেন।