17.7 C
New York

চুয়াডাঙ্গায় ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

Published:

সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ হাটখোলা এলাকার বাসিন্দা পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষক দোয়াল্লিন মোল্লা বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে তাঁর মাঠে লাগানো ১ বিঘা জমির কলার খেত, ২ বিঘা কচু এবং ১০ কাঠা জমির শসা পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। সেচ দিয়েও রক্ষা করা যায়নি। একই এলাকার বাবু মিয়ার ১ বিঘা জমির কচু, ১০ কাঠা জমির ঢ্যাঁড়স ও ১৫ কাঠা জমির উচ্ছেখেত (করলা) গরমে শেষ হয়ে গেছে। আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকী গ্রামের আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষি বিভাগ বোলচে ধানের জমিতি ২ থেকে ৩ ইঞ্চি পানি দি রাকতি। এভাবে পানিতি যেভাবে খরজ হচ্ছে, সপ ধান বিক্রি করেও খরজে ট্যাকা ওটপে না।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ৩৫ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছিল। তিনি দাবি করেন, এরই মধ্যে ৪০ শতাংশ জমির ধান কেটে কৃষকেরা ঘরে তুলেছেন। বাকি ধানগুলো দানা পর্যায়ে আছে। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ৮০ শতাংশ ধান মাঠ থেকে সংগ্রহ শেষ হবে।

কৃষি বিভাগের এই কর্মকর্তা স্বীকার করেন, গরমে সবজিখেত চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। অতিরিক্ত সেচ দিতে গিয়ে কৃষকের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসক কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, জেলার চারটি ইউএনওর মাধ্যমে বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি ও মুখে খাওয়ার স্যালাইন (ওআরএস) বিতরণ শুরু হয়েছে ২৭ এপ্রিল থেকে। সদর পৌর এলাকায় কর্মহীন মানুষের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। তাঁদের শিগগিরই স্থানীয়ভাবে আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে। এ ছাড়া মন্ত্রণালয়ে ১০ হাজার শুকনা খাবার প্যাকেট চাওয়া হয়েছে। হাতে পাওয়ার সঙ্গেসঙ্গেই বিতরণ করা হবে।

Related articles

Recent articles

spot_img