সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানী কবরস্থানে এ জে মোহাম্মদ আলীকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
এর আগে বিকেলে এ জে মোহাম্মদ আলীর দ্বিতীয় জানাজা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। এদিন বাদ জোহর ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে তার প্রথম জানাজা হয়।
সুপ্রিম কোর্ট থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় এ জে মোহাম্মদ আলীকে চিরবিদায় দেওয়া হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর দ্বিতীয় জানাজায় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমিরউদ্দীন সরকার, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক ও বর্তমান বিচারপতিবৃন্দ, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মনজুরুল হকসহ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিত্ব এবং মরহুমের আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন। এসময় প্রয়াত এ জে মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও মেয়ে তার বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চান।
জানাজা শেষে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে এ জে মোহাম্মদ আলীর কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর বিকেল সাড়ে পাঁচটায় মরদেহ বনানী কবরস্থানে দাফনের উদ্দেশে নেওয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার (২ মে) সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এ জে মোহাম্মদ আলী। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে গেছেন তিনি। শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার মরদেহ পৌঁছে।
২০০১ সালের অক্টোবরে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান এ জে মোহাম্মদ আলী। পরে তিনি দেশের দ্বাদশ অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৫ সালের ৩০ এপ্রিল থেকে ২০০৭ সালের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন।
এ জে মোহাম্মদ আলী ২০০৭ সালের ২৪ জানুয়ারি অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ২০১৩-১৪ মেয়াদে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
এ জে মোহাম্মদ আলীর বাবা এম এইচ খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম অ্যাটর্নি জেনারেল। এ জে মোহাম্মদ আলী ১৯৮০ সালে হাইকোর্ট বিভাগের এবং ১৯৮৫ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তিনি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এফএইচ/এমকেআর