14.6 C
New York

চার ভুতুমের গপ্পো | প্রথম আলো

Published:

৩. খাকি ভুতুম প্যাঁচা (টনি ফিশ আউল): দেশের অতি বিরল আবাসিক পাখিটিকে প্রথম দেখি ইউনিভার্সিটি সায়েন্স মালয়েশিয়ায় একটি কনফারেন্সে গিয়ে পেনাংয়ের বাটারওর্থসে। দেশে এখনো ওটির দেখা পাইনি। বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল, ভারত, ভুটান, লাওস, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান ও চীনে দেখা যায়। দেহের দৈর্ঘ্য ৪৮ থেকে ৫৮ সেন্টিমিটার ও ওজন ১ দশমিক ০৫ থেকে ২ দশমিক ৬৫ কেজি। এরা সিলেট বিভাগের মিশ্র চিরসবুজ ও ঢাকা বিভাগের পত্রঝরা বনের বাসিন্দা।

৪. বেলাই ভুতুম প্যাঁচা (বাফি বা মালায় ফিশ-আউল): দেশের ভেতরে বহু চেষ্টা করেও দুর্ভাগ্যবশত বিরল প্যাঁচাটির দেখা পাইনি। তবে সিঙ্গাপুরের বিশ্বখ্যাত জুরং বার্ড পার্কে ২০০৮ সালে দেখেছি। আমাদের সুন্দরবনের আবাসিক পাখিটিকে মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরেও দেখা যায়। দেহের দৈর্ঘ্য ৪০ থেকে ৪৮ সেন্টিমিটার ও ওজন ১ দশমিক ০৩ থেকে ২ দশমিক ১০ কেজি।

সব প্রজাতির ভুতুম প্যাঁচাই একাকী বা জোড়ায় থাকে। দিনে গাছের ঘন পত্রগুচ্ছের আড়ালে ঘুমিয়ে কাটায়। ভোর, গোধূলি ও পূর্ণিমা রাতে সক্রিয় হয়। মূল খাবার মাছ, ব্যাঙ, সরীসৃপ, বড় পোকা ইত্যাদি। তবে স্তন্যপায়ী প্রাণী ও পাখিতেও অরুচি নেই। প্রজাতিভেদে নভেম্বর থেকে মে প্রজননকাল। সচরাচর বড় গাছের কোটর, খোঁড়ল বা কাণ্ডের ভাঁজে বাসা বানায়। অন্যান্য শিকারি পাখির পরিত্যক্ত বাসাও ব্যবহার করে। ডিম পাড়ে এক থেকে দুটি, রং ঘিয়ে সাদা বা সাদা। পেঁচি একাই তা দেয়। প্রজাতিভেদে ডিম ফোটে ২৮ থেকে ৩৮ দিনে। আয়ুষ্কাল ৮ থেকে ২৩ বছর।

Related articles

Recent articles

spot_img