তিন সুপারিশ করেছিল মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বাধীন কমিটি
২০১৮ সালে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের আন্দোলনের একপর্যায়ে নবম থেকে ১৩তম গ্রেডের (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) সব কোটা বাতিল করে সরকার। বাতিলের আগে তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে যে কমিটি করা হয়েছিল, তারা এই পাঁচ গ্রেডে কোটা বাতিলের সুপারিশ করেছিল।
ওই কমিটি কোটা বাতিলের ফলে কোটার সুবিধাভোগী জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক অবস্থার ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ প্রভাব সম্পর্কে পর্যালোচনা করে পাওয়া পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ারও সুপারিশ করেছিল। এর মানে হলো, ওই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী কোটা পর্যালোচনা করে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে। সরকারি সূত্রে জানা গেছে ওই কমিটি তিনটি সুপারিশ করেছিল।
প্রথম সুপারিশ ছিল, নবম থেকে ১৩তম গ্রেডে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া। দ্বিতীয় সুপারিশ ছিল, এসব গ্রেডে বিদ্যমান কোটাপদ্ধতি বাতিল করা এবং তৃতীয় সুপারিশ ছিল, কোটা বাতিলের ফলে কোটার সুবিধাভোগী জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক অবস্থার ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ প্রভাব সম্পর্কে নির্দিষ্ট সময়ে পর্যালোচনা করে প্রাপ্ত পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া; অর্থাৎ প্রথম দুটি সুপারিশের মূলকথা হলো, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে কোটা থাকবে না। এসব পদে নিয়োগ হবে সরাসরি মেধার ভিত্তিতে। আর ওই কমিটির তৃতীয় সুপারিশটির ব্যাখ্যা হলো, সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে যদি কোনো পরিবর্তন দেখা দেয় যে কোটা অপরিহার্য, তবে সরকার ব্যবস্থা নিতে পারবে। বিষয়টি অনগ্রসর সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
শেষের সুপারিশের ব্যাখ্যা জানতে চাইলে ওই কমিটির প্রধান সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম গত শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, সেই সুপারিশের ব্যাখ্যা হলো, কোটা বাতিলের পর কী প্রভাব পড়েছে, সেটি পর্যালোচনা করে প্রয়োজন অনুযায়ী সমন্বয় করা।