একপর্যায়ে ২ নম্বর গেটসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আন্দোলনকারীরা মুরাদপুর মোড়ে গিয়ে জড়ো হন। অন্তত এক হাজার আন্দোলনকারী সেখানে ছিলেন। সেখানে তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন। পাশাপাশি মোড়ের সড়ক বিভাজকের লোহার গ্রিল ভেঙে ফেলেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেল চারটার দিকে ষোলশহর থেকে আবারও মুরাদপুর মোড়ে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। কিন্তু আন্দোলনকারীরা পাথর নিক্ষেপ করায় তাঁরা মোড়ের কাছে আসতে পারেননি। এ সময় বেশ কয়েকটি গুলি ও বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায়।
সাড়ে চারটার দিকে মুরাদপুর মোড়ের একটি ভবন থেকে দুই দফায় চার তরুণকে নামিয়ে আনা হয়। তাঁদের বেধড়ক পিটুনি দিয়ে হাসপাতালে পাঠান আন্দোলনকারীরা। ওই সময় ভবনের পেছনের দিক থেকে ছাত্রলীগের কর্মীরা নামার চেষ্টা করছেন, এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায়, পাঁচতলা একটি ভবনের গা বেয়ে নামতে চাইছিল একদল। এর মধ্যে নামতে গিয়ে চারতলা থেকে দুজন নিচে পড়ে গেছেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, ভবনের ছাদে ছিলেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। তাঁরা ছাদ থেকে পাথর ছুড়েছেন।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি জাহিদ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ওই ভবনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের আটকে রেখে মারধর করা হয়েছিল। ভবনে অন্তত ২৭ জন নেতা-কর্মী ছিলেন। তাঁদের অনেকের অবস্থা খারাপ।
এভাবে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। পরে আন্দোলনকারীরা মুরাদপুর মোড় ছেড়ে চলে যান। এরপর শুরু হয় যান চলাচল।