এ চারটিসহ ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ছয় বছরে প্রকাশ্যে নির্বাচনকেন্দ্রিক সাতটি অস্ত্রবাজি ও খুনের ঘটনা ঘটেছে। আর অন্যান্য অস্ত্রবাজির ঘটনা ঘটেছে পাঁচটি। এই ১২ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে পেশাদার সন্ত্রাসীর পাশাপাশি যুবলীগ ও ছাত্রলীগের পদধারী নেতা রয়েছেন।
গতকালের পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করার ঘটনা ছাড়া আগের ১১টি ঘটনার মধ্যে ৯টির ক্ষেত্রে মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ২২ জন। তাঁরা সবাই জামিনে। এর মধ্যে নির্বাচনী সহিংসতায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ১৫ জন। বাকি ৭ জন অন্য ঘটনার। গত চসিক নির্বাচনের দিন পিস্তল উঁচিয়ে প্রতিপক্ষকে গুলি করা নগর ছাত্রলীগের সেই নেতাকে এখনো ধরতে পারেনি পুলিশ। যে দুটি ক্ষেত্রে মামলা হয়নি, সেসব ঘটনার অস্ত্র উদ্ধারও হয়নি। দুর্বৃত্তদের প্রদর্শিত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে পিস্তল, শটগান, এলজি (লাইটগান) ও বন্দুক।
এদিকে গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় নগরের ১৬ থানায় মামলা হয়েছে ৩০টি। এর আগের বছর ২০২২ সালে অস্ত্র উদ্ধারের মামলা হয়েছিল ১১৪টি। আর জেলার ১৭ থানায় মামলা হয়েছে ১২০টি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিচারাধীন মামলাগুলোর নিষ্পত্তি হচ্ছে ধীরগতিতে। ১৪ বছর আগের অস্ত্র মামলাও এখনো ঝুলে থাকায় শাস্তির বাইরে রয়েছেন অস্ত্রধারীরা।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় প্রথম আলোকে বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তারও হচ্ছে। জামিনে থাকা আসামিদের নজরদারিতে রেখেছে পুলিশ।