17.3 C
New York

গরমের কষ্ট শুধু তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে না

Published:

শামসুদ্দিন শহিদ: এটা ঠিক, সিঙ্গাপুরের পক্ষে যা সম্ভব হয়েছে, বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোয় তা সম্ভব কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। কিন্তু ভিয়েতনাম, লাওস ও চীনের অনেক শহরে ‘স্পঞ্জি সিটি’ নামের একটি ধারণা জনপ্রিয় হচ্ছে। যেমন চীনের গুয়ানজুকে স্পঞ্জি শহরের একটি উদাহরণ হিসেবে মনে করা হয়। সেখানে শহরের সড়কসহ নানা অবকাঠামো ছিদ্রযুক্ত ইট দিয়ে তৈরি করা হয়। শহরের বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ছাড়াও ছোট ছোট নালা রাখা হয়েছে। ওই শহরে প্রচুর বন্যা হয়। ছোট ছোট এমন উদ্যোগের ফলে বন্যার পানি শহরে বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। কারণ, পানি দ্রুত মাটির নিচে চলে যায়। আর মাটির নিচের পানির স্তর এতে বাড়ে। ফলে গ্রীষ্মকালে ওই পানি শহরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।

ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, লাওস ও দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল শহরে রাস্তার দুই পাশে প্রচুর কুলিং পয়েন্ট তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বসার জায়গা, ওপরে গাছের ছায়া ও ঝিরিঝিরি করে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করা হয়। ফলে নাগরিকদের মধ্যে যাঁরা হেঁটে চলাচল করেন, তাঁরা এসব কুলিং পয়েন্টে বিশ্রাম নিতে পারেন। মালয়েশিয়ায় আমি দেখেছি, উষ্ণ সময়গুলোয় সিটি করপোরেশন থেকে বিশেষ কিছু নিয়ম করে দেওয়া হয়। যেমন শীতাতপনিয়ন্ত্রিত সুপারমল, বিপণিবিতান ও ভবনগুলোয় সাধারণ নাগরিকেরা গিয়ে কিছু সময়ের জন্য বিশ্রাম নিতে পারেন। কিছুটা স্বস্তি বোধ করলে তঁারা আবারও নিজের গন্তব্যে রওনা দিতে পারেন। ফলে এসব শহরে হিটস্ট্রোক কমে যাওয়াসহ গরমে মানুষের কষ্ট কমে যাওয়ার মতো সফলতা পাওয়া গেছে। 

এমনকি ভারতের কলকাতা ও আহমেদাবাদের মতো শহরগুলোয় বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশনসহ জনপরিসরগুলোয় সিটি করপোরেশন গোসল ও খাওয়ার পানির ব্যবস্থা করে, যেখানে শহরের বস্তিবাসী, ট্যাক্সিচালক ও হকারদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষেরা সেবা নিতে পারেন। এভাবে ছোট ছোট উদ্যোগের মাধ্যমে একটি শহরের অতি উষ্ণ তাপমাত্রার বিপদ থেকে নাগরিকদের রক্ষা করা সম্ভব। 

Related articles

Recent articles

spot_img