9.4 C
New York

গণহারে বহিষ্কার নিয়ে প্রশ্ন বিএনপিতে

Published:

যদিও প্রথম ধাপে ৭৬ জন বহিষ্কারের পর সামনের ধাপগুলোতে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এ ব্যাপারে বিএনপি নেতাদের কারও কারও পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন ঘিরে বিএনপির আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পর দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে একটা হতাশা তৈরি হয়েছে, অনেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে উপজেলা নির্বাচন ঘিরে তৃণমূলে এত বহিষ্কার মাঠপর্যায়ে দলকে আরও দুর্বল করবে কি না, সে প্রশ্নও উঠেছে বিএনপিতে।

তবে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই বহিষ্কার (দলে) কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। কারণ, বিএনপি দুই-আড়াই শ নেতা-কর্মীর দল নয়। যাঁরা নির্বাচন করছেন, সেখানে একই মাপের একই যোগ্যতার অনেক নেতা আছেন। কিছু সুবিধাবাদী মনোবৃত্তির নেতা নির্বাচন করছেন ব্যক্তিগত স্বার্থে। বরং জাতির কাছে তাঁদের মুখোশ খুলে গেল।’

সংসদ নির্বাচন বর্জনের চার মাসের মাথায় অনুষ্ঠেয় উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে শুরু থেকেই কঠোর অবস্থান নেন বিএনপির নেতৃত্ব। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল নেতা জানিয়েছেন, এর পেছনে দলের নীতিনির্ধারকদের নানা ব্যাখ্যা-যুক্তি আছে। তাঁরা মনে করেন, এই সরকারের অধীন কোনো নির্বাচনই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার সুযোগ নেই। যেসব কারণে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি, সেসব কারণ এখনো বহাল আছে; বরং একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতাসীন দল আরও কর্তৃত্ববাদী হয়েছে।

Related articles

Recent articles

spot_img