24.9 C
New York

গণনাযন্ত্রের ময়নাতদন্ত (পর্ব ২) | প্রথম আলো

Published:

অ্যাবাকাসের সঙ্গে যাত্রাটা সহজ হলেও মানুষ কখনো থেমে থাকতে পছন্দ করে না। এই পদ্ধতিতে যোগ হয়তো খুব সহজ, তবে গুণ করা মুশকিল। ধরো, ২ ও ১০ গুণ করতে বলা হলে তোমাকে হয় ১০টা ২ অথবা ২টা ১০ যোগ করতে হবে, এভাবেই তখন মানুষ গুণ করত! শুনতে সহজ মনে হলেও যদি তিন বা ততোধিক অঙ্কের সংখ্যা নিয়ে কাজটা করা হয়, এটা অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়বে।

প্রায় অসম্ভব বললেও খুব একটা ভুল হবে না। এই সমস্যা সমাধানে ১৬১৭ সালে স্কটল্যান্ডের গণিতবিদ জন নেপিয়ার ম্যানুয়ালি অপারেটেড একটা পদ্ধতি নিয়ে এলেন, যাকে তিনি নেপিয়ার্স বোনস বা র‌্যাডোলজি নাম দেন। এই পদ্ধতিটি বেশ মজার। একই সঙ্গে গুণ, ভাগ ও বর্গমূল নির্ণয় বিষয়গুলো মানুষের কাছে সহজতর করে ফেলেন।

আমরা এবার নেপিয়ার্স বোনস ব্যবহার করে গুণ করা শিখব। ধরো, তোমাকে ৪২৫ ও ৬ গুণ করে ফলাফল নির্ণয় করতে হবে। নেপিয়ার্স বোনসের সুবিধা হলো, এখানে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত প্রতিটি সংখ্যার সঙ্গে প্রতিটি সংখ্যার গুণফল আগেই রেডি করা থাকে। নিচের চিত্রে খেয়াল করলে দেখতে পারবে, ৪২৫–এর প্রতিটি অঙ্কের সঙ্গে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত গুণ করে কী পাওয়া যাবে, সেটা লেখা আছে। তবে এখানে একটু ভিন্ন উপায়ে লেখা। ড্যাশের ওপরে দশক মান, নিচে একক মান লেখা।

প্রতিটি ঘরে কখনোই দুই অঙ্কের বেশি সংখ্যা থাকবে না। কেননা, ৯ ও ৯ গুণ করে ৮১ পাওয়া যায়, যা এই পুরো পদ্ধতির সর্বোচ্চ খোদাই করা সংখ্যা। আমরা যে সংখ্যা গুণ করতে চাচ্ছি, তার অঙ্কগুলো একদম ওপরের লাইনে নিয়ে বাঁ পাশের প্রথম কলামে সব সংখ্যা এবং মধ্যবর্তী ঘরগুলোতে তাদের গুণফল খোদাই করা হয়েছে। এই ডাইসগুলো আগেই রেডি করা থাকে, তোমাকে কেবল বসাতে হয়। প্রতিটি কলামের প্রথম সংখ্যা প্রতিনিধিত্ব করে এবং উক্ত কলামের বাকি সংখ্যাগুলো হলো প্রতিনিধি সংখ্যার ক্রমিক গুণিতক। যেমন ৪–এর ক্রমিক গুণিতকগুলো হলো ৪, ৮, ১২, ১৬, ২০, ২৪, ২৮, ৩২, ৩৬। পুনশ্চ সব ডাইসের ওপরের সংখ্যা দশক নির্দেশক, নিচের সংখ্যা একক এবং কোনো ডাইসে একটা সংখ্যা থাকা বোঝায় দশক স্থানে ০ আছে, অনেকটা ০৭ কে কেবল ৭ লেখার মতো।

Related articles

Recent articles

spot_img