কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বেলা আড়াইটার দিকে কিছু লোক ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে আমরা সেগুলো উদ্ধার করেছি। এ ঘটনায় আধা ঘণ্টার মতো ভোট বন্ধ ছিল। পরে আবার ভোট গ্রহণ শুরু হয়।’ সংঘর্ষ ও গোলাগুলি বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি কেন্দ্রের বাইরে হয়েছে। এ বিষয়ে আমার জানা নেই।’
এ বিষয়ে জানতে মনিরুল হক মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তিনি বলেন, কোনো হামলার সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘গজারিয়া থানার ওসি রাজীব খানসহ কয়েকজন পুলিশ কাপ-পিরিচের চেয়ারম্যান প্রার্থী মনসুর আহমদ খান জিন্নার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা খেয়েছেন। তাঁরা আমাদের সমর্থক ও লোকজনকে আনারস প্রতীকে ভোট দিতে দিচ্ছিলেন না। এতে ভোটাররা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। পুলিশ আমাদের লক্ষ্য করে গুলি করেছে। আমাদের লোকজন আহত হয়েছে।’
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজীব খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুপুরের ঘটনার পর দ্বিতীয় দফায় ভোট শুরু হয়েছিল। ওই পথ ধরে আমাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদিউজ্জামান স্যার গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন। সে সময় চেয়ারম্যান মনিরুলের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে স্যারের গাড়িতে হামলা চালায়। আমরা তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করি। তাঁরা সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের ওপর আবার হামলা চালায়। আত্মরক্ষায় আমরা গুলি ছুড়ি। তাদের হামলায় দুজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।’