বাংলাদেশ গত দুই বছরজুড়ে লাল শ্রেণিতে আছে। সর্বশেষ গত জুনের হিসাবে, গত এক বছরজুড়ে ১৫টি দেশ লাল শ্রেণিভুক্ত। এই তালিকায় বাংলাদেশের সঙ্গে আরও আছে কঙ্গো, গাম্বিয়া, গিনি, লাইবেরিয়া, মাদাগাস্কার, অ্যাঙ্গোলা, ক্যামেরুন, পূর্ব তিমুর, কেনিয়া, লেসেথো, মঙ্গোলিয়া, তিউনিসিয়া, ভিয়েতনাম ও জাম্বিয়া।
ছয় মাস আগেও বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে লাল শ্রেণিতে বেশ কয়েকটি উন্নত দেশও ছিল। ওই সময় এই শ্রেণিতে সব মিলিয়ে ছিল ৩৪টি দেশ। ছয় মাসের ব্যবধানে লাল শ্রেণি থেকে বের হয়ে গেছে অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য। মূলত নানামুখী পদক্ষেপের কারণেই এসব দেশ উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি সামাল দিতে পেরেছে। তাই দেশগুলোকে লাল শ্রেণি থেকে বাদ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
গত এক বছরে বাংলাদেশে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি বেশি খারাপ অবস্থায় রয়েছে। বিবিএসের হিসাবে, গত ১২ মাসের মধ্যে ৭ মাসই খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে ছিল। গত বছরের আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশে উঠেছিল, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সর্বোচ্চ।
সদ্য বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৭২ শতাংশে, যা অর্থবছরওয়ারি হিসাবে অন্তত এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ। পুরো অর্থবছরের কোনো মাসেই সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের নিচে নামেনি। আবার ১০ শতাংশও ছাড়িয়ে যায়নি। অন্যদিকে জাতীয় মজুরি হারের প্রবৃদ্ধি ছিল সাড়ে ৭ শতাংশের মতো।