18.5 C
New York

এলডিসি উত্তরণের পর রপ্তানি কমতে পারে ৫.৫ থেকে ১৪%: এডিবি

Published:

বলা হয়েছে, এই সুবিধা পেতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতকে দ্বৈত রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। পোশাক তৈরির ক্ষেত্রে দেশে উৎপাদিত কাপড় ও সুতা ব্যবহার করতে হবে। তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের সংযোগ শিল্পের যে অবস্থা, সেই বিবেচনায় এই শর্ত পূরণ কঠিন হবে।

দেশের রপ্তানি খাতে বৈচিত্র্য না আসার কারণ হিসেবে প্রণোদনা বৈষম্যের কথা উল্লেখ করেছে এডিবি। তারা বলেছে, বাংলাদেশ সরকার সময়-সময় রপ্তানি খাতে যে প্রণোদনা দিয়েছে, তা অনেক ক্ষেত্রেই তৈরি পোশাক খাতকে উদ্দেশ্য করে প্রণয়ন করা হয়েছে। শুল্কমুক্ত কাঁচামাল আমদানি, বন্ডেড ওয়্যারহাউস–সুবিধা, আয়কর ছাড় বা রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল থেকে সহায়তা দেওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের যেসব সুবিধা দেওয়া হয়েছে, তার অনেকটি সব খাতের জন্য প্রযোজ্য ছিল। কিন্তু দেখা গেছে, এসব সুবিধার বেশির ভাগই মূলত তৈরি পোশাক খাত পেয়েছে। এই শিল্প ১৯৯০-এর দশকে বন্ডেড ওয়্যারহাউস–সুবিধা পেত; কিন্তু তখন তাদের নগদ সুবিধা দেওয়া হয়েছে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত।

পরবর্তী সময়ে তৈরি পোশাক খাতের সুবিধার যৌক্তিকীকরণ করা হলেও বন্ডেড ওয়্যারহাউস–সুবিধা অন্যান্য খাত পায়নি। ২০২৩ সাল পর্যন্ত পোশাক খাত ব্যতীত অন্যান্য রপ্তানিকারকেরা উচ্চ হারে করপোরেট কর দিয়েছে; এমনকি তাদের অর্থায়ন পাওয়ার সুযোগও ছিল সীমিত। দেশে ব্যবসার জগতে তৈরি পোশাক খাতের প্রভাব এতটাই বেশি যে নীতিগত সুবিধার সিংহভাগ তারাই পায় বলে মনে করে এডিবির।

Related articles

Recent articles

spot_img