আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে, দেশের যে পাঁচটি স্টেশনে এপ্রিল মাসে তাপমাত্রা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে, তার মধ্যে তিনটিই কম তাপের এলাকা হিসেবে পরিচিতি। এর মধ্যে আছে উত্তরের তিন জনপদ তেঁতুলিয়া, নওগাঁর বদলগাছি এবং রাজারহাট।
অপরদিকে যে ২৪টি স্টেশনে এবারের এপ্রিলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়েছে, এর মধ্যে ১২টিই উপকূলীয় এলাকা। দেশের দক্ষিণের জনপদ বরিশাল বিভাগের চারটি স্টেশন থেকে আবহাওয়া অধিদপ্তর তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে। স্টেশনগুলো হলো বরিশাল, পটুয়াখালী, খেপুপাড়া ও ভোলা। দেখা গেছে, চারটি স্টেশনেই এবারের এপ্রিলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
দক্ষিণের খুলনা বিভাগের ছয় স্টেশনের মধ্যে তিনটিতেই তাপমাত্রা বেড়েছে। সেগুলো হলো খুলনা, মোংলা ও কুষ্টিয়ার কুমারখালী। এর মধ্যে খুলনা ও মোংলা উপকূলীয় এলাকার মধ্যে পড়েছে।
দেশের যেসব এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সব সময় অন্য এলাকার চেয়ে কম থাকে তার মধ্যে আছে চট্টগ্রাম। এ বিভাগে ১৩টি স্টেশন আছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের। তার মধ্যে ছয়টিতেই এবারের এপ্রিলে তাপমাত্রা অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া এলাকাগুলো হলো সীতাকুণ্ড, পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুতুবদিয়া ও টেকনাফ।
দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়া ও সুপেয় পানির সংকট আগে থেকেই আছে। এর মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি নতুন বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করে জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক এ কে এম সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গবেষণায় দেখেছি, দেশের উপকূলীয় এলাকায় উষ্ণতা বাড়ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের এপ্রিল মাসের তাপমাত্রার মূল্যায়নে সেই বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটেছে।’