14.6 C
New York

ঋণ পুনঃ তফসিল: ১ কোটি টাকা না দিলে নির্বাচন করতে পারতেন না স্বাস্থ্যমন্ত্রী 

Published:

বিডি থাই ফুডের জন্য প্রথম ঋণ মঞ্জুর হয় ২০১১ সালের ২৪ আগস্ট। এর পর থেকে এ পর্যন্ত অগ্রণী ব্যাংকের কাছে সুদ-আসলে ১৩০ কোটি ৫২ লাখ টাকার দেনাদার কোম্পানিটি। ব্যাংকের ভাষায় এ টাকা হচ্ছে ‘ বিডি থাই ফুডের একীভূত দায়’। এর মধ্যে রয়েছে ৫৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকার প্রকল্প বা মেয়াদি ঋণ, ৭২ কোটি ৫ লাখ টাকা ক্যাশ ক্রেডিট হাইপোথিকেশন (সিসি হাইপো) এবং ৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা ডিমান্ড লোন।

একীভূত দায়ের মধ্যে ৯৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা হচ্ছে আসল। আর ৩৬ কোটি ১ লাখ টাকা হচ্ছে সুদ। ব্যাংক বলছে, খেলাপি হয়ে যাওয়ার কারণে ২০২৩ সালে আর সুদ আরোপ করা হয়নি। টাকা আদায়ে গ্রাহকের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়নি।

তিন শ্রেণির ঋণের মধ্যে ২০২২ সালের ৩০ জুন খেলাপি হয়েছে প্রকল্প মেয়াদি ঋণ ও ডিমান্ড লোন। আর সিসি হাইপো খেলাপি হয়েছে একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর। ২০২১ সালের ২৩ আগস্টসহ মেয়াদি ঋণ এর আগে চতুর্থবার বার ও ডিমান্ড লোন একবার পুনঃ তফসিল করা হয়েছে। তবে সিসি হাইপো ঋণ আগে পুনঃ তফসিল হয়নি, এবারই প্রথম পুনঃ তফসিল হয়েছে। 

বিডি থাই ফুডের উদ্যোক্তা ও তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের যে ঋণের তথ্য (সিআইবি) সংগ্রহ করেছে অগ্রণী ব্যাংক; সে অনুযায়ী স্বাস্থ্যমন্ত্রী, তাঁর বোন, ছেলে-মেয়েসহ ২০ ব্যক্তি ও ৭ প্রতিষ্ঠান মিলে ব্যাংকের কাছে মোট দায়দেনা রয়েছে ৪৮১ কোটি টাকা। 

বিডি থাই ফুডের চেয়ারম্যান রুবিনা হামিদ গত বুধবার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘শুরুর দিকে পারলেও শেষে আমরা ভালো ব্যবসা করতে পারিনি। তবে এখন কোম্পানি চালু আছে। বিভিন্ন দেশে রপ্তানির আদেশও পাচ্ছি।’ ভবিষ্যতে ব্যাংকের দেনা পরিশোধ করা সম্ভব হবে বলে তাঁর দাবি। তবে অগ্রণী ব্যাংকে আবেদন করে তিনি জানান, ব্যাংকটি যে শর্ত দিয়েছিল, ভুলবশত তাঁরা তা প্রত্যাহারে আবেদন করতে পারেননি। এ ভুলের জন্য তাঁরা দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। 

Related articles

Recent articles

spot_img