19.4 C
New York

উদ্ধারকারী ট্রেনগুলো অনেক পুরোনো, সংখ্যায়ও কম

Published:

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রামের উদ্ধারকারী ট্রেনটি ৫০ বছরের বেশি পুরোনো। এই ট্রেনটির সক্ষমতা মাত্র ২০ টনের। পুরোনো হওয়ায় ১০ থেকে ১২ টনের বেশি ভার উত্তোলন করতে পারে না। আবার এই ট্রেনের গতি ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার। এটি মেরামত করা হচ্ছে।

রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে পূর্বাঞ্চলে রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৫০৩ কিলোমিটার। প্রতিদিন গড়ে ৫৪টি আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। মেইল, এক্সপ্রেস ও কমিউটার ট্রেন আছে ৭০টি। পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করে প্রতিদিন গড়ে ৮টি।

গত ১ ডিসেম্বর থেকে ৩ মে পর্যন্ত পাঁচ মাসে অন্তত ৩৫টি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। অর্থাৎ প্রতি মাসে গড়ে সাতটি করে দুর্ঘটনা ঘটছে। সর্বশেষ গত শুক্রবার গাজীপুরের জয়দেবপুরে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

রেলওয়ের ট্রেন পরিচালনা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, পর্যাপ্ত উদ্ধারকারী ট্রেন না থাকায় সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে। এ সময় ট্রেনের পুরো সূচি ভেঙে পড়ে। যতক্ষণ পর্যন্ত লাইনচ্যুত বা দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেন উদ্ধার করা না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এর ফলে যাত্রীদের দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়।

কর্মকর্তারা বলছেন, পূর্বাঞ্চলে, বিশেষ করে শুধু চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য নতুন আরও তিনটি উদ্ধারকারী ট্রেনের প্রয়োজন। এর মধ্যে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও লাকসামের জন্য একটি করে ট্রেন লাগবে। এই ট্রেনগুলো যদি পাওয়া যায়, তাহলে এই অঞ্চলের যেখানেই দুর্ঘটনা ঘটুক, সেখানে পৌঁছাতে সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। এখন ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগছে।

Related articles

Recent articles

spot_img