16.9 C
New York

উত্তর প্রদেশের চারবারের মুখ্যমন্ত্রী কেন নেই ভোটের মাঠে

Published:

এসব অভিযোগ এত দিন নিজের মতো করে সামাল দিলেও ২০১২ সালে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর মায়াবতী অসহায় বোধ করতে থাকেন। ২০১৪ সালে প্রথমে কেন্দ্রে, তার পর ২০১৭ সালে রাজ্যে বিজেপির দ্রুত উত্থান এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্ঘোষ ধীরে অথচ নিশ্চিতভাবে মায়াবতীকে নির্বিষ করে তোলে। আজ যে অবস্থায় তিনি এসেছেন, তা তাঁর অতীতের ছায়ামাত্র।

২০১২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ২৯ শতাংশ ভোট পেয়ে ২২৪ আসন জিতে এসপি ক্ষমতায় এলেও বিএসপি ভোট পেয়েছিল ২৬ শতাংশ। দুই বছর পর ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে উত্তর প্রদেশে বিএসপি একটিও আসন পায়নি। অথচ প্রায় ২০ শতাংশ ভোট টেনেছিল। তিন বছর পর ২০১৭ সালে এসপিকে সরিয়ে বিজেপির ক্ষমতাসীন হওয়ার সময় বিএসপি পেয়েছিল মাত্র ১৯টি আসন। কিন্তু ভোট টেনেছিল প্রায় সাড়ে ২২ শতাংশ। এসপির চেয়েও যা দেড় শতাংশ বেশি।

ক্ষমতার লড়াইয়ে টিকে থাকার তাগিদে ২০১৯ সালে মায়াবতী জোটবদ্ধ হন অখিলেশের এসপি ও জয়ন্ত চৌধুরীর আরএলডির সঙ্গে। তাতে তাঁর লাভ হয়েছিল। ১০টি আসনে জিতেছিল বিএসপি। ভোট পেয়েছিল সাড়ে ১৯ শতাংশ। কিন্তু ২০২২ সালের বিধানসভা ভোটে কোনো এক অজ্ঞাত কারণে তিনি একা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেন।

সেই লড়াই বুঝিয়ে দেয় মায়াবতী তাঁর অতীতের ছায়া মাত্র। অস্তাচলগামী সূর্য। তাঁর দল একটি মাত্র আসন জিতেছিল। ১৯৮৯ সালের পর যত নির্বাচন হয়েছে, কোনোবার এত কম ভোট তিনি পাননি। ২০২২ সালে বিএসপির ভাগ্যে জোটে ১৩ শতাংশেরও কম ভোট। অথচ ১৯৮৯ সালে দলের হাঁটি হাঁটি পা পা এগোনোর দিনেও পেয়েছিলেন পৌনে ১০ শতাংশ ভোটারের সমর্থন।

Related articles

Recent articles

spot_img