২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু চালুর পর লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপার নিষিদ্ধ করে সরকার। গত বছরের ঈদুল ফিতরের সময়ও তা নিষিদ্ধ ছিল। তবে গত ঈদুল আজহার সময় অনানুষ্ঠানিকভাবে মোটরসাইকেল পরিবহন চালু করা হয়। তখন অনেক লঞ্চ ঢালাওভাবে মোটরসাইকেল পারাপার করেছে। এবারই প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চে মোটরসাইকেল পরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত হয়।
১৩ মার্চ সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে সভা হয়। সভার কার্যবিবরণীতে দেখা যায়, ১২০ ফুট দৈর্ঘ্যের প্রতিটি লঞ্চে সর্বোচ্চ ২টি মোটরসাইকেল পরিবহন করা যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ১২০ ফুট থেকে ২০০ ফুট পর্যন্ত দৈর্ঘ্যের প্রতিটি লঞ্চে সর্বোচ্চ ৪টি এবং ২০১ ফুট থেকে ৩০০ ফুট পর্যন্ত দৈর্ঘ্যের প্রতিটি লঞ্চে সর্বোচ্চ ৬টি মোটরসাইকেল পারাপার করা যাবে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, মোটরসাইকেলের ওজন ও আকৃতি বিবেচনা করে ঢাকা থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত প্রতিটি মোটরসাইকেল পারাপারে ৩০০ টাকা গুনতে হবে যাত্রীকে। ঢাকা থেকে চাঁদপুরের (ডাউনে) পরে যেসব জায়গা আছে, সেসব যাত্রীকে প্রতি মোটরসাইকেলে ভাড়া গুনতে হবে ৫০০ টাকা। চাঁদপুরের ডাউনে রয়েছে ভোলার বিভিন্ন এলাকা, বরিশাল, পটুয়াখালী ও বরগুনার বিভিন্ন এলাকা। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বিষয়টি দেখভাল করবে।