‘ইনফ্লুয়েন্সার’ হতে চাইলে নিজেকে কতটা প্রস্তুত রাখতে হবে? এ বিষয়ে জানতে চাইলে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের নতুন সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যাকজেনটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আদিল হোসেন নোবেল প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখনকার তরুণেরা এ পেশায় নিজেদের খুব মানিয়ে নিয়েছেন।
সৃষ্টিশীল তরুণেরা এ পেশায় নিজেদের আরও সংযুক্ত করলে ব্যবসা কিংবা সামাজিক প্রেক্ষাপটে ইতিবাচক প্রভাব দেখতে পারব আমরা। ব্র্যান্ড সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে এ ধরনের বিপণন-পন্থার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। আমার কাছে তথ্যপ্রযুক্তির এ সময়ে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিংকে বেশ কার্যকর বলেই মনে হচ্ছে।’
তবে অনেকেই দক্ষতা অর্জন না করে অর্থাৎ কনটেন্ট তৈরির আদ্যোপান্ত না জেনেই এই পেশা শুরু করেন। ফলে সাফল্য না পেয়ে হতাশ হয়ে ঝরে পড়েন। এখন ইউটিউবসহ কয়েকটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও বিভিন্ন ধরনের দক্ষতা শেখা যায়, নিজেকে সৃষ্টিশীল পেশায় দেখতে চাইলে সেগুলো খুঁজে শিখতে হবে। বুঝতে হবে।
যেকোনো কাজই পরিকল্পনার মাধ্যমে গভীরভাবে শেখার বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়েছেন শিক্ষাবিদ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম। তিনি বলেন, ‘সৃষ্টিশীল তরুণদের যেহেতু এই পেশায় এত আগ্রহ, তাই শুধু অন্যকে দেখে আমিও তাঁর মতো হব—এমনটা ভাবা উচিত নয়। বরং জেনে-বুঝে, দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আত্মোন্নয়ন করেই কাজে নামা দরকার। শুধু ইনফ্লুয়েন্সারদের জন্যই নয়, সব পেশার ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য বলে আমি মনে করি। শেখার কোনো বিকল্প নেই—কথাটা সব সময় মনে রাখলে কেউ বিফল হবে না।’