22.4 C
New York

ইইউর নতুন বিধানটি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জের সঙ্গে সুযোগও

Published:

সিএসডিডিডির মূলে রয়েছে, ইইউর মধ্যে পরিচালিত বিভিন্ন বড় কোম্পানিকে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর তাদের কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাবগুলো শনাক্ত, প্রতিরোধ ও প্রশমিত করার সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য করার পাশাপাশি জবাবদিহি নিশ্চিত করা। বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের তাদের ব্যবসা টেকসই করাসংক্রান্ত কর্মপ্রচেষ্টায় প্রতিক্রিয়াশীল বা কেবল বিদ্যমান নিয়মগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য স্থাপন ও প্রতিপালন না করে বরং সক্রিয় হওয়া উচিত। এই নীতির ভিত্তিতে বিধানটি প্রণয়ন করা হয়েছে।

এই বিধানের বেশ কয়েকটি ক্ষেত্র রয়েছে। নিয়মকানুন অনুসরণের মাধ্যমে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে তার নিজস্ব ব্যবসায়িক কার্যক্রম, সরবরাহব্যবস্থা ও ব্যবসায়িক অংশীদারদের মধ্যে প্রকৃত ও সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাব শনাক্ত করার পাশাপাশি প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতিরোধ, প্রশমন ও প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ পণ্যগুলো কীভাবে তৈরি করা হয়, পণ্য তৈরির উপাদানসমূহ কোথা থেকে সংগ্রহ করা হয়, কারখানার কর্মপরিবেশ কেমন ইত্যাদি বিষয়ের দিকে নজর দেওয়া। কাজেই এসব বিষয় আমাদের পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তাদের ওপর সুস্পষ্ট প্রভাব ফেলবে, বিশেষ করে আমি বলব পোশাকশ্রমিকদের অধিকারসংক্রান্ত বিষয়ে।

নতুন বিধানটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। ইইউর ডিউ ডিলিজেন্স ডিরেকটিভের অর্থ হচ্ছে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই তাদের নিয়ম–নীতির আলোকে গৃহীত কর্মপ্রচেষ্টা, ব্যবসায়িক কার্যক্রমে প্রকৃত ও সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাব শনাক্ত করা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতিরোধ, প্রশমন ও প্রতিকারের কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, তা আনুষ্ঠানিকভাবে রিপোর্ট করতে হবে। এই রিপোর্টিং একটি প্রতিষ্ঠানের সাসটেইনেবিলিটি বা টেকসই চর্চা সম্পর্কে ভোক্তা, বিনিয়োগকারীসহ সব অংশীজনকে অবগত করাও নিশ্চিত করে। এখানে মূল বিষয় হলো বৃহত্তর স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হলে ফ্যাশন ব্র্যান্ডকে সরবরাহকারীর সঙ্গে আরও সম্পৃক্ত হতে হবে। তবে তার মানে হলো, উৎপাদনকারীদের নতুন নতুন নিরীক্ষা বা অডিটের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Related articles

Recent articles

spot_img