জুভেন্টাস, ইন্টার মিলান ও পালমেইরাসের সাবেক ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার মেলো ২০১০ বিশ্বকাপে রবিনিও ও আলভেজের সতীর্থ ছিলেন। ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবোস্পোর্তে’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রবিনিও ও আলভেজের শাস্তি নিয়ে কথা বলেছেন ৪০ বছর বয়সী মেলো। সাবেক দুই সতীর্থকে নিয়ে বেশ কড়া ভাষায় কথা বলেছেন তিনি, ‘প্রথম কথা হলো, এ বিষয়ে কথা বলতে কাউকে জোর করা হয়নি। তবে আমি কোনো সমস্যা দেখি না। আমার ১৫ বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। ওরা যদি আমার মেয়ের সঙ্গে এটা করত, তাহলে আমার মনে হয় না এখানে বসে সাক্ষাৎকার দিতাম।’
মেলো এরপর স্পষ্ট করেই বলেছেন, ‘আমার মতে, মানুষকে সম্মান করতে হবে। নারীদের সম্মান করতে হবে। পুরুষদেরও সম্মান করতে হবে।’ আলভেজ ও রবিনিওর জন্য ফুটবল ক্যারিয়ার এগিয়ে নেওয়ার দ্বার বন্ধ হয়ে গেছেও বলে মনে করেন মেলো। তবে তাঁরা নিজেরা যেন নিজেদের জন্য সুযোগের দ্বার রুদ্ধ না করে, সে কথাও বলেছেন ব্রাজিলের হয়ে ২০০৯ ফিফা কনফেডারেশনস কাপজয়ী সাবেক এ ফুটবলার, ‘তাদের আর ফুটবল খেলার সুযোগ নেই। কিন্তু যেটাই ঘটুক…তারা নিজেরা যেন নিজেদের পথটা রুদ্ধ না করে। কারণ, তারা আইন অনুযায়ীই সাজা খাটছে।’
মেলো মনে করেন আলভেজ এবং রবিনিওর জন্য সাজার মেয়াদটা কম হয়েছে, ‘সাজার মেয়াদটা কম হয়েছে। দানি আলভেজ তো এরই মধ্যে জেল থেকে বের হয়েছে। কোনো নারীর সঙ্গে এমনকিছু করার পর কেউ এমন (সুবিধা) কিছু পেতে পারে বলে আমি মনে করি না। একবার মেয়েটির কথা ভাবুন। সেও তো কোনো বাবা–মায়েরই মেয়ে…সন্তানদের শিক্ষিত করে তোলার দায়িত্ব আমাদের, আর এটাও শিক্ষারই অংশ। এসব যেন না ঘটে সে জন্য ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করে তুলতে হবে।’