৫. প্রাপ্তবয়স্ক ও অবিবাহিত আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা হলে কী করেন?
ক. তাঁর বিয়ে প্রসঙ্গে কোনো কথা বলেন না। স্বাভাবিকভাবে অন্য বিষয়ে কথা বলেন।
খ. আলাপের মধ্যে বিয়ের প্রসঙ্গ উঠলে বলেন, ‘সবাইকেই বিয়ে করতে হবে এমন কোনো কথা নেই।’
গ. ‘বিয়ে কবে করবা’, ‘কেন বিয়ে করছ না’–জাতীয় প্রশ্ন করতে থাকেন।
ঘ. তাঁর বয়সে বা তাঁর চেয়ে কম বয়সে অন্যরা বিয়ে করে কত সুখে আছে কিংবা এখনই বিয়ে না করলে ভবিষ্যতে তাঁকে কতটা পস্তাতে হবে, সেই ফিরিস্তি শোনান।
৬. আপনার আত্মীয় যাঁকে বিয়ে করেছেন, তাঁকে আপনার পছন্দ না হলে কী করেন?
ক. দম্পতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন, স্বাভাবিক আলাপচারিতা চালিয়ে যান।
খ. কুশল বিনিময়ের পর কথা খুব একটা এগিয়ে নেন না।
গ. আলাদাভাবে আপনার আত্মীয়কে বলেন, তিনি জীবনসঙ্গী হিসেবে আরও ‘ভালো’ কাউকে বেছে নিতে পারতেন।
ঘ. অপছন্দের কথা সরাসরি প্রকাশ না করলেও তাঁর নানা খুঁত ধরতে থাকেন।
৭. বিবাহিত দম্পতি, যাঁদের সন্তান নেই, তাঁদের সঙ্গে দেখা হলে কী করেন?
ক. সন্তান প্রসঙ্গের অবতারণা না করেই আলাপচারিতা চালিয়ে যান।
খ. আলাপের মধ্যে বলেন, ‘তোমাদের সুসংবাদ কবে পাচ্ছি?’ কিংবা ‘তোমাদের বাচ্চার মুখ কবে দেখব?’
গ. বয়স চলে যাচ্ছে, তা মনে করিয়ে দেন, ‘এখনো বাচ্চা না নিলে আর বাচ্চা মানুষ করবা কবে?’
ঘ. প্রশ্ন করেন, সঙ্গে উপদেশও দেন—‘বাচ্চা নিচ্ছ না কেন? তোমাদের কি কোনো সমস্যা আছে? ডাক্তার দেখাও।’
৮. আত্মীয়দের মধ্যে কেউ ভিন্নধারার ক্যারিয়ার বেছে নিলে কী করেন?
ক. তাঁকে অভিনন্দন জানান, তাঁর সাহসিকতা বা ভিন্নধারার ভাবনার জন্য প্রশংসা করেন।
খ. অভিনন্দন জানালেও ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে দ্বিধা প্রকাশ করেন।
গ. কথার ফাঁকে বলে দেন, ‘এত পড়ালেখা করে তাহলে কী লাভ হলো?’
ঘ. তাঁকে সরাসরি বলেন, ‘এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হয়নি।’
৯. কোনো আত্মীয়কে দামি উপহার দিলে কী করেন?
ক. উপহারের দাম প্রসঙ্গে কোনো কথা বলেন না।
খ. উপহারটা একটু বাড়তি যত্নে রাখতে বলে দেন তাঁকে।
গ. তাঁর কাছ থেকেও দামি উপহার প্রত্যাশা করেন।
ঘ. নানা কথার ফাঁকে উপহারের দামটা শুনিয়ে দেন।
১০. আত্মীয়দের মধ্যে কেউ মারা গেলে কী করেন?
ক. তাঁর কাছের মানুষদের সান্ত্বনা দেন, তাঁদের পাশে থাকেন।
খ. সান্ত্বনা দিলেও তাঁর কাছের মানুষদের প্রয়োজনগুলো মেটাতে আপনি খুব একটা সক্রিয় ভূমিকা রাখেন না।
গ. কারও গাফিলতি বা ভুল সিদ্ধান্তের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে কি না, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তা বের করার চেষ্টা করেন।
ঘ. তাঁর সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা প্রসঙ্গে কথা তোলেন।
আপনার প্রাপ্ত নম্বর যদি ৪৬ থেকে ৫০ এর মধ্যে হয়, তাহলে আত্মীয় হিসেবে আপনি ভালো।
প্রাপ্ত নম্বর ৩৭ থেকে ৪৫ হলেও আপনি আত্মীয় হিসেবে মন্দ নন। তবে আরেকটু সহমর্মী আচরণ করলে অন্যরা আপনাকে আরেকটু বেশি ভালোবাসবে।
আপনি যদি ২৬ থেকে ৩৬ পেয়ে থাকেন, তাহলে আত্মীয় হিসেবে আপনি সব সময় ভালো আচরণ করেন, এমনটা বলা যাবে না। আত্মোন্নয়নের দিকে আপনার আরেকটু খেয়াল করা দরকার। মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা দরকার।
যদি ২৫-এর কম পেয়ে থাকেন, তাহলে আপনি আত্মীয় হিসেবে একেবারেই ভালো নন! অন্যের জীবন সম্পর্কে নিজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বদলে ফেলুন আজই।