Home Defence অস্থিরতা শিগগিরই কাটবে বলে মনে হয় না

অস্থিরতা শিগগিরই কাটবে বলে মনে হয় না

62
0
অস্থিরতা শিগগিরই কাটবে বলে মনে হয় না

বলব বলব করেও একটা বিষয় কোনো দিন বলিনি। আমাদের আইনে বিচার বিভাগীয় তদন্ত বলে কোনো কিছু নেই। যদিও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটলে, অন্যায়-অবিচার হলে বিভিন্ন মহল প্রায়ই বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানায়। কিন্তু আইনের দৃষ্টিতে আইনের মধ্যে বিচার বিভাগীয় তদন্ত বলে কিছু নেই। আমাদের বিচার বিভাগ বিচার করে। অর্থাৎ দুই পক্ষের মধ্যে কোনো বিরোধ হলে সেই বিরোধের আইনগত সমাধান দেয়।

বহুদিন পরে হলেও সংবাদমাধ্যমে দেখলাম, কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট-১৯৫২-এর অধীন বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ আইনে কমিশন অব ইনকোয়ারি বা তদন্ত কমিশন আছে। তদন্ত কমিশন গঠনের প্রেক্ষাপট হলো, সরকার তার প্রশাসনে যদি কোনো সমস্যার সম্মুখীন হয় এবং বারবার যদি একই ধরনের সমস্যা ঘটে, তাহলে একটা কমিশন করে সেই কমিশনকে বলে, সমস্যার কারণ কী সেটা খুঁজে বের করো এবং এর সমাধানে একটা সুপারিশ দাও।

যেমন আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেখছি, সেতুর যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়, তাতে হয়তো বলা হয়, তিন বছরে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হবে। কিন্তু দেখা যায়, পাঁচ, ছয়, সাত বছরেও সেতু নির্মিত হচ্ছে না। অর্থ ব্যয়ের পরিমাণ তিন কোটি থেকে বেড়ে আট থেকে দশ কোটি টাকা হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে তদন্ত কমিশন করে আমাদের সেতু পরিকল্পনায় কোথায় গলদ আছে, কেন সেটা হচ্ছে, ভবিষ্যতে সেতু নির্মাণের জন্য কী ধরনের পরিকল্পনা ও কী ধরনের দক্ষতা দরকার, সে সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করা।

বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের নেতৃত্বে যে তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে, সেটা কোটা সংস্কার আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে তার বিচারের ব্যবস্থা করার জন্য নয়। এই কমিশন মূলত প্রশাসনিক ব্যর্থতা বা অন্য কোনো পদক্ষেপের কারণে এই অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে কি না, তার খোঁজখবর নেবে এবং সেটা নিয়ে সরকারকে সুপারিশ দেবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।

সুতরাং, রংপুরের আবু সাঈদ ও ঢাকার নাহিদ ইসলামের ঘটনা স্বাভাবিক ফৌজদারি আইনের নিয়ম অনুযায়ী তদন্ত করে বিচারের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here