13.3 C
New York

অর্ধেকের বেশি কেন্দ্র ‘ঝুঁকিপূর্ণ’  | প্রথম আলো

Published:

জেলার পাঁচটি নির্বাচনী আসনেই অর্ধেকের বেশি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করা হলেও গাজীপুর–১ ও ২ আসনে সংখ্যাটা বেশি। গাজীপুর-১ আসনটি গঠিত কালিয়াকৈর-বাসন, কোনাবাড়ী ও কাশিমপুর এলাকা নিয়ে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্যানুযায়ী এই আসনের ১২৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ৮২টি, যা মোট কেন্দ্রের ৬৪ শতাংশ।

এই আসনের প্রধান দুই প্রার্থী মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম (রাসেল)। আসনটির কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর, চন্দ্রা পল্লীবিদ্যুৎ ও মৌচাক এলাকাসহ কয়েকটি কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) এ এফ এম নাসিম প্রথম আলোকে বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে পুলিশের পাশাপাশি আনসার, বিডিআরসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।

সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র গাজীপুর-২ (সিটি করপোরেশনের ৩৬টি ওয়ার্ড) আসনে। এই নির্বাচনী এলাকার টঙ্গী, আউচপাড়া, এরশাদনগরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় নানা কারণে উত্তপ্ত পরিস্থিতি থাকে। এ আসনের ৪০০ ভোটকেন্দ্রের ২৯৭টি অর্থাৎ ৭৪ শতাংশ ঝুঁকিপূর্ণ। এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, টঙ্গী এলাকায় যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ গ্রহণ করা হয়, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুত আছে।

এই আসনে আলোচনায় থাকা দুই প্রার্থী যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান (রাসেল) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলিম উদ্দিন।

গত সোমবার রাতে গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর ও গাজীপুর সদরের আংশিক) আসনের মাওনার সলিংমোড় এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ইকবাল হোসেনের (সবুজ) নির্বাচনী ক্যাম্পের পাশে তাঁর এক কর্মীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গুলির ঘটনা ঘটে। গুলিতে ইলিকট্রনিক পণ্যের শোরুমের কাচ ছিদ্র হয়ে যায়। কাচের টুকরার আঘাতে ভেতরে থাকা দুজন আহত হন। এই আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী রুমানা আলী। প্রচারণার শুরু থেকেই দুই প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর আঁচ পড়তে পারে ভোটকেন্দ্রগুলোতেও।

Related articles

Recent articles

spot_img