দেশে কত জন বিদেশি অবৈধভাবে কাজ করছে তার সঠিক হিসেব নাই। ২০২০ সালে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) তথ্য মতে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৭৭৯ জন। বাংলা ট্রিবিউন ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ এর তথ্য মতে দেশে থাকা মোট বিদেশি ৩০ লাখের মতো (রোহিঙ্গাসহ)। কিন্তু অবৈধভাবে কাজ করছে প্রায় ১০ লাখ বিদেশি। উন্নয়নমূলক কাজ বেড়েছে ফলে বিদেশি আসাও বেড়েছে এই তিন বছরে।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট সামির সাত্তারের মতে, প্রতি বছর বিদেশিরা নিয়ে যাচ্ছে ১০ বিলিয়ন ডলারের মতো। (ইত্তেফাক ৯ জুলাই, ২০২৩)। এই অবৈধ বিদেশিদের বিতাড়িত করলেই কিন্তু প্রায় ১০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়ে যায়।
এখানে খুব অবাক করার বিষয় হচ্ছে ভারতে রেমিট্যান্স পাঠানোতে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। (সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোনেম, ২৮ মে ২০২২)। যদিও বৈধ পথে ২০২১-২২ অর্থবছরে বৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে রেমিট্যান্স অন্য দেশে যায় ১১ কোটি ৫০ লাখ ডলারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব বলছে, গত অর্থবছরে ৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স গেছে ভারতে, যা দেশের বাইরে যাওয়া রেমিট্যান্সের মধ্যে সর্বোচ্চ। তাহলে দেখা যাচ্ছে অবৈধ পথে আরও কী পরিমাণ ডলার বের হয়ে যাচ্ছে।
বিজনেস ভিসা নিয়ে অনেক ভারতীয় এবং চীনা নাগরিক এই দেশে কাজ করে যাচ্ছে। এই সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে দেশ বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা ও সাশ্রয় করতে পারে। অবশ্য তার আগে প্রয়োজন নিজেদের তাদের স্থান নেওয়ার মতো যোগ্যতা অর্জন করা। এবং এই ব্যাপারে সরকার এবং বেসরকারি খাত দুই পক্ষকেই সচেতন হতে হবে।
দেশের বৈদেশিক মূদ্রার সংকট ঠেকানোর এটা একটি বড় খাত। শুধু বাংলাদেশ না, অবৈধ বিদেশি এখন সারা বিশ্বেই একটা বড় আলোচনার বিষয়, আমরা কেন তাদের বাজার হয়ে থাকব?