22.7 C
New York

‘অযৌক্তিক’ গৃহকর বাতিল চান ভবনমালিকেরা

Published:

ভুক্তভোগীদের আবেদন

করপোরেশনের রাজস্ব শাখার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ সালে মাঠপর্যায়ে অনুসন্ধান শেষে হোল্ডিং সংখ্যা পুনর্নির্ধারিত হয়। এতে পুরোনো ২৭টি ওয়ার্ডে হোল্ডিং নির্ধারিত হয় ৭৫ হাজার ৪৩০টি। এসবের গৃহকর আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১১৩ কোটি ২৭ লাখ ৭ হাজার ৪০০ টাকা। নতুন গৃহকর ধার্যের সময় ধরা হয় ২০২১-২২ সাল। সেই করারোপের তালিকাই ৩০ এপ্রিল প্রকাশ করা হয়েছে। তবে নতুনভাবে যুক্ত হওয়া ১৫টি ওয়ার্ডের হোল্ডিং ওই তালিকায় আসেনি।

সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান খান প্রথম আলোকে বলেন, নতুন গৃহকর নিয়ে আপত্তি থাকলে ১৪ মে পর্যন্ত ভুক্তভোগীরা নির্ধারিত ‘ডি-ফরম’ পূরণ করে আপত্তি জানাতে পারবেন। পরে রিভিউ বোর্ডে শুনানির মাধ্যমে তা নিষ্পত্তি করা হবে।

এদিকে গতকাল বেলা সাড়ে তিনটার দিকে নগর ভবনে গিয়ে দেখা গেছে, ভবন প্রাঙ্গণে স্থাপিত বুথে হাজারো মানুষ গৃহকর নিয়ে নিজেদের আপত্তি জানাতে জড়ো হয়েছেন। অনেকে ‘ফরম-ডি’ সংগ্রহ করে পূরণ করে নির্ধারিত বুথে জমা দিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ পুরো প্রক্রিয়াটি অন্যদের কাছ থেকে জেনে নিচ্ছেন। সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত স্থাপিত অস্থায়ী বুথগুলোতে ভুক্তভোগীদের আপত্তি-সংক্রান্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়।

ভুক্তভোগী ১২ জন ভবনমালিকের সঙ্গে প্রথম আলোর এ প্রতিবেদকের আলাপ হয়। তাঁরা জানান, সিটি করপোরেশনের মাঠপর্যায়ের অনুসন্ধান যথাযথভাবে হয়নি। পুনর্মূল্যায়নের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন আছে। তাঁদের আবাসিক কাঁচা, আধা পাকা ভবনের আয়তন ও ধরন আগের মতো থাকলেও তাঁদের ১০ থেকে ৫০ গুণ গৃহকর বেড়েছে। এক লাফে কেন তাঁদের গৃহকর এতটা বাড়ানো হলো, তাঁরা বুঝতে পারছেন না।

Related articles

Recent articles

spot_img