বিজেপির বক্তব্য, শাহ তাঁর ভাষণে বলেছিলেন, বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে অসাংবিধানিকভাবে মুসলমানদের দেওয়া সংরক্ষণ কোটা তুলে দেবে। এই অধিকার আছে শুধু তফসিল জাতি, উপজাতি ও অনগ্রসরদের।
লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দুই দফায় ভোট আগের লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় খুবই কম পড়েছে। তার পর থেকেই বিজেপি ও কংগ্রেস একে অপরের বিরুদ্ধে প্রচার তীব্র করে তুলেছে। কংগ্রেসের নির্বাচনী ইশতেহার বিকৃত করে প্রধানমন্ত্রীসহ বিজেপির শীর্ষ নেতারা বলতে শুরু করেছেন, ক্ষমতায় এলে তারা দেশের জনগণের সম্পদ কেড়ে নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে ভাগ–বাঁটোয়ারা করে দেবে।
প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের জন্য নির্বাচন কমিশন বিজেপি সভাপতিকে চিঠি পাঠিয়েছে। একই রকম চিঠি পাঠিয়েছে কংগ্রেস সভাপতিকেও রাহুল গান্ধীর ভাষণ নিয়ে। তার মীমাংসা হওয়ার আগেই এবার বিজেপির অভিযোগের ভিত্তিতে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীকে সমন জানাল দিল্লি পুলিশ।
ভোট যত এগোচ্ছে, প্রচারের তীব্রতা ও তিক্ততা ততই বেড়ে চলেছে। বিজেপির প্রচারে এখন কংগ্রেসের ‘মুসলমানপ্রীতি’ ছাড়া অন্য কিছু নেই। সে প্রসঙ্গে চলে আসছে সংরক্ষণ কোটা উল্লেখ। প্রধানমন্ত্রী নিজে যে সুর বেঁধে দিয়েছেন, সেই সুরেই বিজেপির নেতারা নির্বাচনী ভাষণ দিয়ে চলেছেন।
কয়েক দিন আগে এক জনসভায় রাহুল বলেছিলেন, বিজেপি সংবিধান ও গণতন্ত্র নিকেশ করে দিতে চাইছে। ৪০০ আসন পাওয়ার তাগিদ সে কারণেই। আগেকার দিনে রাজা–মহারাজারা নিজেদের ইচ্ছেমতো কাজ করতেন। সাধারণের জমি–জায়গা হরণ করতেন। জনগণের সঙ্গে মিলে কংগ্রেস দেশকে স্বাধীনতা দিয়েছে। গণতন্ত্র দিয়েছে। সংবিধান দিয়েছে। কংগ্রেস তা রক্ষা করবে।