বরিশালের ভাষায় ‘যমজ’ নাটকের বেশ কিছু সিকুয়েলে একসঙ্গে অভিনয় করে অনেক বেশি জনপ্রিয়তা পান অভিনেতা রুমি। দুজনই বরিশালে আঞ্চলিক ভাষায় অভিনয় করেন। নাটকের ‘দাদো’ সংলাপ ভক্তদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। জানা যায়, ঢাকার বাইরে থাকায় মোশাররফ করিম শেষবারের মতো দেখতে পারেননি। তবে লাশ কখন কীভাবে দাফন হচ্ছে, সেই খবর প্রতি মুহূর্তে রেখেছেন।
শুটিং থেকেই পারিবারিক সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের টানে দাফন পর্যন্ত সঙ্গে ছিলেন অভিনেতা রাশেদ। ঢাকায় ফিরেছেন গভীর রাতে। কথা বলতে গিয়ে তিনি ভেঙে পড়েন। বলতে থাকেন, ‘রক্তের সম্পর্কের চেয়েও অনেক বেশি কিছু ছিলেন। তিনিই আমার ক্যারিয়ারের শুরু থেকে শুটিংয়ে পাহারা দিয়ে রাখতেন। তাঁর কাছ থেকে জীবনবোধসহ অনেক কিছু শিখেছি। আগলে রাখা সেই রুমি ভাইকে আজ পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’ কথাগুলো শেষ করে কিছুটা সময় চুপ থাকেন এই অভিনেতা।
রাশেদ সীমান্ত আরও বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ভালোবাসাটা ছিল নিঃস্বার্থ। মিডিয়ার কেউ কারও কাছের হতে পারে না, এটা তাঁর ক্ষেত্রে সত্য নয়। মিডিয়ার সবাই তাঁকে পছন্দ করতেন। সহ–অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে রুমি ভাইয়ের অনেক পছন্দের মানুষ ছিলেন মোশাররফ ভাই। রুমি ভাই সব সময় বলতেন, “ও এত পরিশ্রম করে। কখন যে অসুস্থ হয়।” সেই রুমি ভাই চলে গেলেন। লাশ নিয়ে যাওয়ার পথে সেগুলো নিয়েই বারবার কথা হচ্ছিল মোশাররফ ভাইয়ের সঙ্গে। লাশ দাফন হওয়া পর্যন্ত প্রতিটা মুহূর্ত মোশাররফ ভাই খবর নিয়েছেন। এমন একজন মানুষকে হারানোটা আমাদের কাছে অনেক কষ্টের ছিল। রুমি ভাইকে সহজেই ভোলা যায় না। এমন অভিনেতা, মানুষ কালেভদ্রে আসেন। তিনি আমাদের অন্তরে থাকবেন।’