রাহেনুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট মোটামুটি সঠিক ছিল। এর পর থেকে ভোটের কাজে নিয়োজিত পোলিং অফিসার থেকে প্রিসাইডিং অফিসারদের মধ্যে নিষ্ক্রিয়তা, নীরবতা ও পক্ষপাতিত্ব দেখেছি। আমি যখন বিভিন্ন সেন্টারে যাই, তখন পোলিং ও প্রিসাইডিং অফিসারদের দেখেছি যে তাঁরা ঘর বন্ধ করে সেখানে কাজ করছেন। প্রশ্ন করি, “আপনি কেন দরজা বন্ধ করে বসে আছেন, আপনি বুথে বুথে ঘুরে দেখবেন।” তার কোনো সদত্তুর তাঁরা দিতে পারেননি। এ ছাড়া বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হলেও ভোটকেন্দ্রে থাকা কর্তৃপক্ষ কোনো সুব্যবস্থা করতে পারেনি। দুপুর ১২টার পর থেকে দেখা যায়, তাঁরা সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় এবং তাঁরা একটি পক্ষের হয়ে কাজ করেছেন।’
রাহেনুল হক অভিযোগ করে বলেন, ‘টাকাপয়সার মাধ্যমে শাহরিয়ার আলম নির্বাচনকে একপক্ষীয় করেছেন। নির্বাচনের আগে–পরে কালো টাকার প্রভাব ছিল প্রচণ্ড আকারে। এই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। অবশ্যই আমি নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের দাবি জানাই। আমি এখানে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানাই। এ ব্যাপারে আমি লিখিত অভিযোগ দেব।’
নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতায় তাঁর কর্মী-সমর্থকদের মারধর করা হচ্ছে জানিয়ে রাহেনুল হক বলেন, ‘নির্বাচনের পূর্বেই শাহরিয়ার আলম বহুবার বলেছেন, ৭ তারিখের পর দেখা হবে। ৭ তারিখের পর ওনার কর্মীরা আমার কর্মীদের ওপর একের পর এক বাড়িঘর পোড়ানো, মারধর থেকে শুরু করে সবকিছুই করছেন। আমি শুনেছি, উনি বিভিন্ন ইউনিয়নে তালিকা করছেন, কারা কারা কাঁচি মার্কার ভোট করেছেন। আমার কয়েকজন কর্মীকে মারধর করা হলেও আমি থানা বা আইনের আশ্রয় নিয়ে এখন পর্যন্ত মামলা করতে পারেনি। কারণ, মামলা নেওয়া হচ্ছে না। পক্ষান্তরে আমাকে বলা হচ্ছে, আপনি শান্ত থাকুন।’