এ ছাড়া কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নামকাওয়াস্তে গবেষণা খাতে বরাদ্দ ছিল।
তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় তুলনামূলক বেশি ব্যয় করা হয়।
তুলনামূলকভাবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় গবেষণা বেশি হয়।
ইউজিসির তথ্য বলছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে গবেষণায় এগিয়ে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা খাতে বরাদ্দ ছিল ১৫ কোটি টাকা আর প্রকাশনার সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৬৪। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ কোটি ৬০ লাখ টাকা গবেষণায় বরাদ্দ ছিল। প্রকাশনার সংখ্যা ১ হাজার ২৭৫।
জানতে চাইলে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চের নির্বাহী পরিচালক এম রিজওয়ান খান প্রথম আলোকে বলেন, মূলত তিনটি কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণায় পিছিয়ে। প্রথমত, মানসিকতার অভাব। দ্বিতীয়ত, গবেষণা যেহেতু ব্যয়বহুল বিষয়, তাই অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়ে অতটা আগ্রহী হয় না। তৃতীয়ত, শিক্ষকদের ওপর কোর্স পরিচালনার চাপ বেশি থাকে, বিশেষ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয়। ফলে অনেক শিক্ষক গবেষণা করার মতো পর্যাপ্ত সময় পান না। তাই সবকিছু সমন্বয় করে গবেষণায় উৎসাহ দিতে হবে। কারণ, বর্তমান বিশ্বে গবেষণা ছাড়া সামনে এগোনোর উপায় নেই।