Home Defence ‘হামাদের এখানে এমপি ক্যান্ডিডেটরা আসে না’

‘হামাদের এখানে এমপি ক্যান্ডিডেটরা আসে না’

269
0
‘হামাদের এখানে এমপি ক্যান্ডিডেটরা আসে না’

উদাহরণ দিয়ে হিংগু মুরমু বলেন, নাচোলের জমিনকমিন গ্রাম থেকে কার্তিকপুরের কাঁচা রাস্তাটি দুই কিলোমিটার অথবা কিছু বেশি। রাস্তাটি পাকা করার প্রতিশ্রুতি শুনে আসছি সেই ২০০৮ সাল থেকে। কিন্তু এখনো হয়নি। এবারও হয়তো প্রতিশ্রুতি দেওয়া হবে।

একই ধরনের অভিযোগ করেন গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউপির মিরাকাঠাল গ্রামের সাঁওতালদের নেতা জগদীশ সরেন। তিনি বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রেই দেখি উন্নয়ন এসে থমকে দাঁড়ায় আমাদের গ্রামগুলোর (ক্ষুদ্র জাতিসত্তার গ্রাম) কাছে। আমাদের গ্রামে ঢুকতে চাড়ালডাঙ্গা মোড় থেকে চাড়ালডাঙ্গা পূর্বপাড়া জামে মসজিদ পর্যন্ত অর্থাৎ বাঙ্গালীদের গ্রাম পর্যন্ত পাকা রাস্তা এসে থেমে গেছে। আমাদের গ্রাম পর্যন্ত আধা কিলোমিটারের কিছু বেশি রাস্তাটি কাঁচা থেকে গেছে। প্রতিশ্রুতি শুনেই আসছি। কিন্তু সড়ক পাকা হয় না।’

জগদীশ সরেন আরও বলেন, তাঁদের গ্রামের পাশেই বড় একটি পুকুর আছে। পুকুরপাড়ে আছে বহু পুরোনো শ্মশান, খ্রিষ্টানদের কবরস্থান ও কালীমন্দির। এগুলো তাঁরা দাদা-বাবার আমল থেকে ব্যবহার করে আসছেন। এই জমি থেকে তাঁদের উচ্ছেদের চেষ্টা হয়েছে বহুবার। তখন ক্ষমতাসীন নেতা-এমপিদের সহযোগিতা পাওয়া যায় না। এখন পর্যন্ত নির্বাচনের কোনো প্রার্থী তাঁদের গ্রামে আসেননি।

এই আসনে এবার পাঁচজন প্রার্থী রয়েছেন। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মু. জিয়াউর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী গোমস্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস, জাতীয় পার্টির মোহা. আবদুর রশিদ, বিএনএফের আজিজুর রহমান ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবদুল্লা আল মামুন।

সংসদ সদস্য মু. জিয়াউর রহমান বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় সব গ্রামে যাওয়া সম্ভব হয় না। ইতিমধ্যে কয়েকটি গ্রামে গেছেন। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বিষয়ে তিনি বলেন, এবার নির্বাচিত হলে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর গ্রামের রাস্তাগুলো যেন কাঁচা না থাকে, সে ব্যবস্থা করা হবে। জমিনকমিন গ্রাম থেকে কার্তিকপুর পর্যন্ত রাস্তাটি শিগগিরই পাকা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here