ফ্রিজ প্রতীকের প্রার্থী এম এ রাজ্জাক খানের সঙ্গে আছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী ওরফে জিপু চৌধুরী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরীফ হোসেন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জানিফ হোসেনসহ তাঁদের অনুসারীরা। এম এ রাজ্জাক খানের পক্ষে অবস্থান নেওয়া প্রসঙ্গে ওবায়দুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘ক্লিন ইমেজের প্রার্থী রাজ্জাক খান। তাঁর মধ্যে আমরা অনেক সম্ভাবনা দেখেছি। তিনি নির্বাচিত হলে চুয়াডাঙ্গায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজসহ উন্নয়নকাজ বাস্তবায়িত হবে। এলাকার মানুষ অনেক দিন ধরে এমন একজন প্রার্থীর অপেক্ষায় ছিলেন।’
লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সোহরাব হোসেন রোববার দুপুরে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোটিপতি প্রার্থীদের সঙ্গে মাঠে দৌড়ে আর পারছি না। আমি অসুস্থ। তাই গত বুধবার থেকে সব ধরনের প্রচার বন্ধ করে দিয়েছি। ভোটাররা ভালোবেসে ভোট দিলে দেবেন। আমি আর প্রচারে নেই।’
ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মহাসচিব ইদ্রিস চৌধুরী চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনেই ভোটে দাঁড়িয়েছেন। তিনি দাবি করেন, ‘এই আসনে মোট ভোটের ৩০ শতাংশ মাত্র আওয়ামী লীগের, বাকি ভোট অন্যদের। যেহেতু আওয়ামী লীগের ভোট স্বতন্ত্রদের সঙ্গে ভাগ হয়ে যাবে। ফেয়ার ভোট হলে আম প্রতীকের জয় হবে।’
চুয়াডাঙ্গা-২ আসন: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে (দামুড়হুদা, জীবননগর ও সদরের একাংশ) মোট ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আলি আজগার টগর (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক উপকমিটির সদস্য আবু হাশেম রেজা (ট্রাক), সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মীর্জা শাহরিয়ার মাহমুদ (ঢেঁকি) ও নুর হাকিম (ঈগল), জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি নজরুল ইসলাম মল্লিক (ফ্রিজ), জাতীয় পার্টির প্রার্থী দলটির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম (লাঙ্গল), জেলা জাসদের (ইনু) প্রচার সম্পাদক দেওয়ান মো. ইয়াছিউল্লাহ, জেলা জাকের পার্টির সভাপতি আবদুল লতিফ খান (গোলাপ ফুল) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মহাসচিব ইদ্রিস চৌধুরী (আম)।