20.6 C
New York

স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে যেভাবে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

Published:

প্রতিযোগিতাটির জন্য সারা বাংলাদেশকে নয়টি অঞ্চলে ভাগ করা হয়। একেকটি অঞ্চল থেকে তিনটি করে দল জয়ী হলেও বাংলাদেশ থেকে গ্লোবাল নমিনেশন পায় ‘টিম ভয়েজার্স’সহ মোট ১৩টি দল। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ৩টিসহ মোট ৪০টি দলকে গ্লোবাল ফাইনালিস্ট হিসেবে বাছাই করা হয়।

এবারের প্রতিযোগিতায় নাসা থেকে মোট ৩০টি চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়েছিল। চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে ‘টিম ভয়েজার্স’ বাছাই করে ‘এভরিথিং স্টার্টস উইথ ওয়াটার’। চ্যালেঞ্জের মূল বিষয়—পানি। পৃথিবীতে মোট ৩৭০ কোয়ান্টিলিয়ন (১ এর পর ১৮টি ০) গ্যালন পানি আছে। এর মাত্র শূন্য দশমিক শূন্য ১ শতাংশ বিশুদ্ধ পানি। অথচ এই মহামূল্যবান সম্পদ আমরা প্রতিনিয়ত অপচয় করছি। সারা পৃথিবীতে পানি কীভাবে প্রবাহিত হচ্ছে এবং জলবায়ু পরিবর্তনে এটি কীভাবে ভূমিকা রাখছে, সেটি সবাইকে সহজভাবে বোঝানোই ছিল চ্যালেঞ্জের মূল প্রতিপাদ্য। টিম ভয়েজার্স এই চ্যালেঞ্জের জন্য তাদের প্রকল্পের নাম দেয় ‘অ্যাকুয়া এক্সপ্লোরার’।

প্রতিযোগিতাটি শুধু যে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য, তা নয়। বরং এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। প্রকল্পের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে মো. খালিদ সাকিব বলেন, ‘সম্পূর্ণ প্রকল্পটি ডেভেলপ করতে আরও অনেক সময় ও গবেষণার প্রয়োজন। আমার দলের সবাই এখনো শিক্ষার্থী। কেউ কেউ খণ্ডকালীন চাকরি করে। তাই জলবায়ু নিয়ে কাজ করে, এমন কোনো স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান বা সফটওয়্যার কোম্পানি এগিয়ে এলে আমরা প্রকল্পের সবকিছু বুঝিয়ে দিতে চাই।’

জানিয়ে রাখি, ২০১৮ সালে নাসা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় ‘বেস্ট ইউজ অব ডেটা’ বিভাগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দল ‘টিম অলীক’। ২০২১ সালে ‘বেস্ট মিশন কনসেপ্ট’ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গড়া দল ‘টিম মহাকাশ’। ২০২২ সালে ‘মোস্ট ইন্সপিরেশনাল’ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ‘টিম ডায়মন্ডস’। বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাত ধরে এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকল।

Related articles

Recent articles

spot_img