23 C
New York

সেন্ট মার্টিন দ্বীপে বিপদ বাড়ছে মা কচ্ছপের

Published:

কচ্ছপের যত বিপদ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. ফরিদ আহসান কক্সবাজার এলাকায় কচ্ছপের ঝুঁকি নিয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি বিপন্ন সামুদ্রিক কচ্ছপ ধ্বংসে ১১টি ঝুঁকি চিহ্নিত করেন। এসব হলো, অপরিকল্পিত অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে কক্সবাজার সৈকতে কাছিমের আবাসস্থল ধ্বংস করা, নিষিদ্ধ কারেন্ট ও টানা জালের ব্যবহার, সৈকত এলাকায় যথেচ্ছ আলোকায়ন, জালে আটকে পড়া মা কাছিম মেরে ফেলা, সমুদ্রে পরিত্যক্ত জাল ফেলে দেওয়া, ডিম ছাড়ার মৌসুমে সৈকতে ডাইভিং, খেলাধুলা ও ডিম পাচার প্রভৃতি।

আবার সেন্ট মার্টিন সৈকতের কাছে সাগরে জেলেরা প্রায়ই কারেন্ট ও বিহিঙ্গি জাল পেতে রাখেন। এ ছাড়া গভীর সাগরে বড় ফিশিং বোটের ট্রলিং জালের ব্যবহারও বেড়েছে। এই তিন জালে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে মা কচ্ছপ। আবার জাল ডিঙিয়ে কিছু কচ্ছপ সৈকতে এসে ডিম পাড়তে পারলেও সেই ডিম রক্ষা করা যাচ্ছে না। ডিমগুলো খেয়ে ফেলছে বেওয়ারিশ কুকুর।

নিষিদ্ধ জাল কোথায় ও কীভাবে ব্যবহার হয়, তা জানা গেল টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের জেলে মোহাম্মদ উল্লাহর (৪২) কাছ থেকে। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, জেলেরা সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ১০-১২ কিলোমিটার দূরে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ফেলে পোপা, লইট্যা, ফাইস্যা, ছুরি, ইলিশসহ বিভিন্ন মাছ ধরেন। এ সময় অসংখ্য কচ্ছপ জালে আটকা পড়ে। কচ্ছপ আটকা পড়লে জাল ছিঁড়ে যায় বলে জেলেরা সেগুলোকে পিটিয়ে হত্যা করে সাগরে ফেলে দেন। এ ছাড়া সেন্ট মার্টিনের নাইক্ষ্যংদিয়া চ্যানেলে পেতে রাখা হয়েছে প্রায় তিন শতাধিক নিষিদ্ধ বিহিঙ্গি জাল। প্রতিদিন এসব জালে কচ্ছপ মারা যাচ্ছে।

Related articles

Recent articles

spot_img