নেকিরহাট দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আমিনুর ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীসহ মানুষজন হেঁটে নদ পারপার হচ্ছে। শুনেছি, এখানে গত বছরেই সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনো অর্ধেক কাজই হয়নি। সেতু নির্মাণ না হওয়ায় মানুষজন কষ্টে আছে। শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে।’
নদ পারাপারের সময় কথা হয় দরগাপাড়া গ্রামের গৃহবধূ নাজমা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কদ্দিন যে নয়া সেতুখ্যান হইবে, তাক আল্লাহয় জানে। অসুস্থ মানুষজনোক ঘাড়োত করি ভাসে ওই পারোত নিগি হাসপাতালোত নিগার নাগে। বিয়াওবাদি হইলে গাড়ি নদীর ওপারোত থুইয়া সাগাই সোদার হাঁটি আইসে।’
হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কুমারেশ রায় বলেন, ‘ঠিকাদারকে বহুবার অনুরোধ করেছি, তিনি কথাও দিয়েছেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে সেতু নির্মাণের কাজ শেষ না করায় নদের দুই পারের মানুষের কষ্ট থেকেই গেছে। আমাকে প্রতিনিয়ত জনগণের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে।’
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স লিমিটেডের মালিক ইউনুস আলী মুঠোফোনে বলেন, ‘নেকিরহাট সেতুর কাজটি অনেক পুরোনো দরে নেওয়া ছিল। উপকরণের দাম বাড়ায় কাজে দেরি হচ্ছে। সেতুটি নির্মাণে প্রায় ২০ লাখ টাকা লোকসান হচ্ছে। শিগগিরই কাজ শুরু হবে।’
উপজেলা প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বলেন, ঠিকাদারকে কাজ শেষ করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। সেতুর প্রায় ৬০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এখন কাজ বন্ধ আছে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খুব দ্রুত কাজ শেষ করে সেতু হস্তান্তর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।