অব্যাহত অভিবাসনের কারণে মোটাদাগের এ দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ ও বিদ্বেষ ক্রমে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন থেকে ২০-২৫ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র মূলত একটি অশ্বেতকায়প্রধান দেশে পরিণত হবে। ফলে গত ৪০০ বছর যাঁরা এ দেশে ছড়ি ঘুরিয়েছেন, সেই সাদা মানুষেরা এ-ই ভেবে শঙ্কিত যে তাঁদের হাত থেকে ক্ষমতার চাবুক খসে পড়বে। ২০০৮ সালে বারাক ওবামা দেশের প্রথম কৃষ্ণকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় শ্বেতকায়দের এ উদ্বেগ প্রকাশ্য হয়ে পড়ে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এই শ্বেতকায়, রক্ষণশীল ও খ্রিষ্টবাদী মার্কিনদের প্রতিনিধি। তিনি তাঁদের এ কথা বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে একমাত্র তাঁর পক্ষেই সম্ভব দেশের এই জনগোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করা। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ‘লম্পট’। অথচ দেশের ইভানজেকিক্যাল শ্বেতাঙ্গদের চোখে তিনি সাক্ষাৎ ‘যিশু’। ট্রাম্পের সময়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টে তিনজন রক্ষণশীল বিচারপতিকে নিয়োগ দিয়েছেন। অনেকের চোখে এটা তাঁর সাফল্যের এক বড় প্রমাণ। এমন লোকের অভাব নেই, যাঁরা মনে করেন, স্বয়ং ঈশ্বর তাঁকে ত্রাতা হিসেবে পাঠিয়েছেন।
ট্রাম্প নিজে দাবি করেছেন, ফিফথ অ্যাভিনিউর ওপর দাঁড়িয়ে তিনি যদি কাউকে গুলি করে হত্যা করেন, তাহলেও তাঁর সমর্থকদের একজনও তাঁকে ছেড়ে যাবে না। এই নাগরিকদের একটি বড় অংশ মনে করেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প হারেননি, কারচুপি করে তাঁকে হারানো হয়েছে। তাঁরা এ কথাও বিশ্বাস করেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে যে দাঙ্গা, তার পুরোটাই বানানো। ট্রাম্প নন, পুলিশ ও এফবিআই এজেন্টরা ভেতর থেকে কলকাঠি নেড়ে দাঙ্গা বাধিয়েছেন। অবাক করার মতো বিষয় হলো, অনেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একজন ‘কাল্ট’-প্রধান বা ধর্মীয় আন্দোলনের নেতা হিসেবে অভিহিত করে থাকেন।