প্রিয় নবী (সা.)–এর প্রতি দরুদ পাঠ ও সালাম প্রদানের নির্দেশনাসংবলিত আয়াতটি শাবান মাসেই অবতীর্ণ হয়। ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা নবীজি (সা.)–এর প্রতি পরিপূর্ণ রহমত বর্ষণ করেন, ফেরেশতাগণ নবীজি (সা.)–এর জন্য রহমত কামনা করেন; হে বিশ্বাসী মুমিনগণ! তোমরাও তাঁর প্রতি দরুদ পাঠ করো এবং যথাযথভাবে সালাম পেশ করো।’ (সুরা-৩৩ আহজাব, আয়াত: ৫৬) ইবাদতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় শাবান মাস। নফল রোজা, নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, দরুদ শরিফ, জিকির–আজকার, তাসবিহ–তাহলিল, দোয়া–কালাম, দান–সদকাহ–খয়রাত, ওমরাহ হজ ইত্যাদির মাধ্যমে এই মাসকে সার্থক ও সাফল্যময় করা যায়।
রাসুল (সা.) রজব ও শাবান মাসব্যাপী এ দোয়া বেশি বেশি পড়তেন, ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজব ওয়া শাবান, ওয়া বাল্লিগ না রমাদান’। অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! রজব ও শাবান মাস আমাদের জন্য বরকতময় করুন; রমাদান আমাদের নসিব করুন।’ (মুসনাদে আহমাদ)
শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত ১৫ তারিখের রাতকে ‘শবে বরাত’ বলা হয়। ফারসি পরিভাষায় শব অর্থ রাত, বারাআত মানে মুক্তি; শবে বরাত অর্থ মুক্তির রাত। ‘শবে বরাত’ এর আরবি হলো ‘লাইলাতুল বারাআত’ তথা মুক্তির রজনী। হাদিস শরিফে যাকে ‘নিসফ শাবান’ বা শাবান মাসের মধ্য দিবসের রজনী বলা হয়েছে। এ রাতে ইবাদত করা ও দিনে রোজা রাখা সুন্নত। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন মধ্য শাবান আসবে, তখন তোমরা রাতে ইবাদত করো এবং দিনে রোজা রেখো। নিশ্চয় এ রাতে আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন এবং বলতে থাকেন—কে আছে ক্ষমাপ্রার্থী, আমি তাকে ক্ষমা করব, কে আছে রিজিক প্রার্থী, আমি তাকে রিজিক দেব, কে আছে বিপদগ্রস্ত, আমি তাকে মুক্ত করব; এভাবে ফজর পর্যন্ত বলতে থাকেন।’ (ইবনু মাজাহ)