ওই এলাকার কৃষকদের কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) দুটি গভীর সেচযন্ত্র স্থাপন করেছিল। ১০ বছর আগে আবদুল করিম শেখ নামে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে সেচযন্ত্র দুটির দায়িত্ব দেওয়া হয়। দেখা যাচ্ছে যে সেচযন্ত্র কৃষকের আশীর্বাদ হওয়ার কথা, তা না হয়ে বরং সংকট তৈরি করেছে। জমি প্রস্তুত ও ধানের চারা রোপণ করেও পানি পাচ্ছেন না কৃষকেরা।
কৃষি উৎপাদন ও চাষবাস ব্যাহত হওয়ার বড় একটি কারণ সেচসংকট। দখলে ও দূষণে দেশের নদী-খাল-বিল সংকুচিত হয়ে আসার কারণে এ সংকট তৈরি হয়েছে। সেচযন্ত্র দিয়ে করিম শেখ নিজেই পানি তোলা বন্ধ করে দেন। এতে জমির সেচ পুরোপুরিভাবে বন্ধ রয়েছে। করিম শেখের দাবি, একটি যন্ত্র চালালে এক পাশের কয়েকজন কৃষক সুবিধা পাবেন। অন্য পাশ অনাবাদি থেকে যাবে। মেশিন চালাতে যে খরচ হবে, তা উঠবে না।
এখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও লৌহজং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ভরাট করা বালু সরানোর জন্য পদক্ষেপ নিয়েছেন। কয়েক দিনের মধ্যে সেচযন্ত্র দুটি চালু হবে, এমনটি আশা করা যাচ্ছে। তবে কৃষকেরা মনে করছেন, এ পদক্ষেপ সাময়িক। সেচযন্ত্র দুটির অবস্থান সরানোর কোনো বিকল্প নেই। কারণ, পার্শ্ববর্তী জমি আবারও বালু ভরাট করার আশঙ্কা দেখছেন তাঁরা। এ ছাড়া সেচযন্ত্র দুটি সরানোর বিকল্প জায়গাও আছে। কৃষকদের দাবি, সেচযন্ত্র নিয়ন্ত্রণকারী করিম শেখের জন্যও সেখানে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে না। এখন এ মৌসুমে কোনোভাবে সমস্যার সমাধান হলেও পরে একই সংকট আবার দেখা দিতে পারে।
আমরা আশা করব, স্থানীয় প্রশাসন কৃষকদের দাবি বিবেচনা করবে। সেখানকার সেচযন্ত্র সুবিধাজনক স্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হোক।